বাসস দেশ-১৩ (প্রথম কিস্তি) : অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন

343

বাসস দেশ-১৩ (প্রথম কিস্তি)
বঙ্গবন্ধু-পুনর্গঠন
অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন
ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং সফলভাবে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক এবং অর্থনীতির বাইরের উভয় খাতের গভীরে প্রথিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন।
বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত সংবাদপত্রের রিপোর্ট এবং প্রকাশিত গ্রন্থে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সহবরাহ, অবকাঠামো পূননির্মাণ, যুদ্ধে সর্বস্বহারা লাখ লাখ লোকের পুনর্বাসন এবং আর্থিক, শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরুজ্জীবন ছিল বঙ্গবন্ধুর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
অর্থনৈতিক খাতের বাইরে অন্যান্য চ্যালেঞ্জ ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুশাসন এবং বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে দেশের অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়। এরফলে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
১৯৭২ সালে প্রথম বিজয় দিবসে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুভেনিয়রে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, তিনশ’র বেশি রেলসেতু এবং তিনশ’ বেশি সড়ক সেতু যুদ্ধকালে পাকিস্তানী বাহিনী ধ্বংস করেছে। ২৯ টি জাহাজ ডুবিয়ে বন্দরের প্রবেশপথ অচল করে দেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়ে যায়।
পলায়নরত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বন্দরের চ্যানেলে মাইন পুঁতে যাওয়ার কারণেও দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দর ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তারা আত্মসমর্পণের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নগদ টাকা ও মজুদ স্বর্ণ জ্বালিয়ে দেয় এবং পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পপতিরা প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়। এতে সদ্য স্বাধীন হওয়া এই দেশটি অর্থশূন্য হয়ে পড়ে।
সুভেনিয়রে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে কৃষিখাতে ৩৭৬ কোটি টাকাসহ দেশের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১২০ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক এই দুর্বল অবস্থার মধ্যেই দেশে নবগঠিত কতিপয় গ্রুপ তাদের অশুভ উদ্দেশ্য পূরণে রাজনৈতিক বিপন্ন পরিস্থিতি তৈরি ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। বঙ্গবন্ধু তাদের কঠোর ভাষায় সাবধান করে দেন এবং একই সময়ে বিপুলসংখ্যক উন্নয়ন কার্যক্রম এবং নীতি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে জাতি পুনর্গঠন শুরু করেন।
বাংলাদেশ অবজারভারের প্রথম পাতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ত্রাণ ও পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন। দৈনিক বাংলার ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি রিপোর্টে বলা হয়, গৃহহীন মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু ৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
চলবে/বাসস/এসএএইচ/অনুবাদ-এমএবি/১৮৫৪/আরজি