নদী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে ডাচ উদ্যোক্তাদের প্রতি ডিসিসিআই-এর আহ্বান

312

ঢাকা, ১৪ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডের (ডাচ) উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাকাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘নদী ও পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডের দক্ষতা রয়েছে। তাই সেখানকার ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি, তারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করতে পারেন।’
ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন ও সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি বাসব্ল্য উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ মূলত তৈরি পোষাক, হিমায়িত মাছ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য নেদারল্যান্ডে রপ্তানি করে। তিনি এসব পণ্য আরও বেশি পরিমাণ আমদানি করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের দিক থেকে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় স্থানে রয়েছে এবং বর্তমানে খাদ্য, জ্বালানী, সিমেন্ট, তৈরি পোষাক ও টেক্সটাইলখাতে নেদারল্যান্ডের প্রায় ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে, যা বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রায় ৮ শতাংশ।
তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ¦ালানী, নদী ব্যবস্থাপনা ও নদীশাসন, ডিজিটাল শিল্পখাত এবং সমুদ্র অর্থনীতি অত্যন্ত সম্ভাবনায় খাত। এখাতসমূহে বিনিয়াগের জন্য নেদারল্যান্ডস এর উদ্যোক্তাদের প্রতিউদাত্ত আহ্বান জানান, রিজওয়ানরাহমান।
নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে স্বল্পন্নোত দেশ হতে উত্তরণের সুপারিশ গৃহীত হওয়ার বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। তবে তিনি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশের কূটনৈতিক কার্যক্রম আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন এবং একই সাথে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে ব্যান্ডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পোল্ট্রি ও ডেইরী, ড্রেজিং, ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলোজি (ফিনটেক) এবং মেরিটাইম প্রভৃতি খাত ডাচ বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যানের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে, দেশের বেসরকারীখাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেহবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব হলে, তারা এ দেশের অর্থনীতির গতিধারা পরিবর্তন করতে সক্ষমহবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩৮ দশমিক ৩৩ এবং ১০৯৮ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার।