কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন

349

॥ কামাল আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ৮ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : জেলার রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) দেশের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম। এ পর্যন্ত কুমিল্লা ইপিজেডে মোট বিনিয়োগ এসেছে ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩ হাজার ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্যসামগ্রী রপ্তানী হয়েছে। বর্তমানে এ ইপিজেডে দেশি-বিদেশি ও যৌথ মালিকানার ৪৭টি চালু প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন।
বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিন্তে আলমগীর জানান, এ ইপিজেডে দেশের বিনিয়োগকারী ছাড়াও চীন, জাপান, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, কানাডা, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া বিনিয়োগ করেছে। এখানে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, স্যুয়েটার, ফেব্রিক্স, টেক্সটাইল ডাইজ এন্ড অক্সিলিয়ারিজ, ইলেক্ট্রনিক্স পার্টস, এলিমেনেটিং ব্রাশ, ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার আপারস, ক্যামেরা কেইস, ব্যাগ, ইয়ার্ণ, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ, মেডিসিন বক্স, আই প্যাচ, কার্পেট, গ্লোভস, লাগেজ, মেডেল, পেপার প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, কুমিল্লা ইপিজেডে কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) রয়েছে। এর ১৫ হাজার ঘণমিটার বর্জ্য পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৫ সালে এর উদ্বোধন করা হয়। ওই সময় থেকে এ ইপিজেডের শিল্প কারখানাগুলো হতে পৃথক নেটওর্য়াকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারে নেওয়া হয় এবং রাসায়নিক ও জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার ঘণমিটার (শতভাগ) বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে নির্মল পানিতে পরিণত করে নিষ্কাষণ করা হয়। প্রতি মাসে দুইবার সিইটিপির আউটলেটের পানি বেপজা গ্রীণ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ও মনিটরিং টিম এর কার্যক্রম পরীক্ষা ও পরিদর্শন করে থাকেন। ফলে এ ইপিজেডের সিইটিপি থেকে নিঃস্বরিত পানির মাধ্যমে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি ও জীববৈচিত্র্যের কোনরুপ ক্ষতি হয় না।
বেপজা’র কুমিল্লার মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকার খাল ও ড্রেনের ময়লা পানি ও বর্জ্য ইপিজেডের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা ড্রেনের মাধ্যমে খাল-ড্রেন হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পতিত হয়। ইপিজেডের পরিশোধিত পানির সাথে সিটি করর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ বর্জ্য ও মিলিটারি ফার্মের বর্জ্য একত্রে মিশ্রিত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে নগর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি সমন্বয়ে টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।