তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট করারোপের সুপারিশ

382

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ),বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডব্লিউবিবি) যৌথ উদ্যোগে আজ ইআরএফ কার্যালয়ে ‘তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
রুমানা হক তার প্রবন্ধে বলেন, ২০০৯ সালে ১৫ বছরের উর্ধে ৪৩ শতাংশ থেকে ২০১৭ সালে ৩৫ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে।এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো তামাকের প্রসার ও তাদের গ্রাহক বাড়তে তরুণের তামাক ব্যবহারের উদ্ধদ্বু করছে।আমাদের সুনিদিষ্ট কর আরোপের পাশাপাশি এর উপর প্রচলিত স্তর প্রথা বাতিল করতে হবে। তামাকের উপর সঠিকভাবে উচ্চ হারের কর বৃদ্ধি করা হলে রাজস্ব আয় বাড়বে এবং এর বিপরীতে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে রুমানা হক বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব আয় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক ব্যয় হয়।
সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের কথা বললেই রাজস্ব আয়, সিগারেটের চোরাচালান, কর্মসংস্থানসহ নানা ধরনের বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদান করা হয়। সিগারেটের চোরাচালান মূলত কোম্পানির ভ্রান্ত প্রচারণা। এ ধরনের প্রচারণার মাধ্যমে কোম্পানীগুলো তামাকের উপর কর বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করে। তামাকের বৃহৎ বাজার থাকলেও স্বল্প পরিমাণ মানুষ তামাকের বিপনন, উৎপাদন ও চাষের সাথে জড়িত। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে তামাকের উপর নির্ভরশীলতা ধীরে ধীরে কমিয়ে নেয়া সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।