ইউরো ২০২০’র পুরো আয়োজনেরই স্বাগতিক হতে চায় যুক্তরাজ্য

219

লন্ডন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস) : বৃটিশ সরকার মে মাসের শেষে আবারো দর্শকদের মাঠে ফেরার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। একইসাথে ইউরো ২০২০ আয়োজনে বৃটেন থেকে প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। স্থানীয় দৈনিক সানডে টাইমস-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যপক প্রয়োগ ও এর সফলতা বিবেচনায় দেশটির সাংস্কৃতিক সচিব অলিভার ডাউডেন উয়েফাকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় আগেই দর্শক ফিরিয়ে আনার ব্যপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। টিকিট থেকে প্রাপ্ত আয়ের ক্ষতি কমাতে সে কারনেই দর্শকের উপস্থিতিতে পুরো ইউরো ২০২০’র আসর নিজেদের দেশে আয়োজনের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বৃটিশ, এমন আভাষই দিয়েছে পত্রিকাটি।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে প্রায় এক বছর পিছিয়ে চলতি বছর ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই ইউরোপের ১২টি শহরে ইউরো ২০২০ আয়োজনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা এখনো পর্যন্ত ১২টি শহরেই এবারের আসর অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই তারা মনে করছে। যদিও বিকল্প চিন্তাও তাদের মাথায় আছে।
বৃটিশ স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক অবশ্য জানিয়েছে এই ধরনের আয়োজনের ব্যপারে তিনি এখনো অবহিত নন।
সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ ২০২০ ইউরোর সাতটি ম্যাচ ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এছাড়া গ্লাসগোতে আয়োজিত হবে চারটি ম্যাচ।
ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার কারনে সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ জার্মানী, স্পেন ও পর্তুগাল থেকে সড়িয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজিত হয়েছে।
লন্ডন ও গ্লাসগো ছাড়াও ইউরো ২০২০’র স্বাগতিক শহরগুলো হচ্ছে ডাবলিন, আমস্টারডাম, কোপেনহেগেন, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, বিলবাও, মিউনিখ, বুদাপেস্ট, বাকু, রোম ও বুখারেস্ট।