বাজিস-৫ : রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত

179

বাজিস-৫
রাঙ্গামাটি-জেনারেল হাসপাতাল
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত
রাঙ্গামাটি, ১৯ আগস্ট ২০১৮ (বাসস): রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ১শ’ শয্যা থেকে ১৫০শয্যা বাড়িয়ে মোট ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ তলা ভবনের অনুমোদন দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানান, ১০তলা ভবনের নকশার কাজ দেরীতে হওয়ায় ভবনের কাজ শুরু করতে দেরী হচ্ছে। ভবনের জন্য প্রথম ধাপে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ও চলে এসেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরো জানান, ১০তলা ভবন পর্যাক্রমে উঠবে আর সাথে সাথে বরাদ্দ ও বাড়বে। ১০তলা ভবনে থাকবে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, উন্নতমানের ল্যাব, উন্নত এক্স-রে, আল্ট্রাসনো গ্রাফী ও ইসিজিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি। পরিপূর্ণ একটি আধুনিক হাসপাতাল। ২৫০শয্যা হাসপাতাল চালু করা হলে রাঙ্গামাটিতে স্বাস্থ্যসেবা একধাপ এগিয়ে যাবে। রাঙ্গামাটির মানুষ আর কষ্ট করে উন্নত চিকিৎসা ও উন্নত পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সুদূর চট্টগ্রাম যাবেনা। এখানেই পাবেন সকল প্রকার উন্নত স্বাস্থ্যসেবা।
এদিকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন জেনারেল হাসপাতালে এসেছে টয়েটা নতুন এ্যাম্ভুলেন্স, নতুন এক্সরে মেশিন, ল্যাবের জন্য বাইনো কালার মাই ক্রোসকোপ (রক্ত) পরীক্ষার মেশিন, এ্যানেলাইজার (ল্যাবেরজন্য) মেশিন ও নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন। এখন আর আল্ট্রা, এক্স-রে ও ইসিজির করার জন্য রেগীদের বাহিরে যেতে হয় না। তবে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে প্রচুর জনবলের অভাব রয়েছে।
সিভিল সার্জন ও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. শহীদ তালুকদার জানান, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মানের দিক থেকে আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন ও উন্নত হয়েছে। তার সুফল জনগণ দেখতে পাচ্ছে। হাসপাতালে এখন কোন রকম সমস্যা নেই বললেই চলে। তবে ১০তলা ভবনটি হলে এখানে স্বাস্থ্য বিভাগের চেহারা পাল্টে যাবে। তখন আর কোন রোগী কষ্ট করে চট্টগ্রাম যেতে হবেনা। জেনারেল হাসপাতালে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। সেটি ও অচিরেই পূরণ হয়ে যাবে। নিয়োগের ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অফিসিয়াল চিঠিপত্র লিখালেখি করা হয়েছে। অচিরেই হাসপাতালে জনবল নিয়োগ হতে পারে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, অপর দিকে জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম উপজেলা রাজস্থলী, কাপ্তাইও বিলাইছড়ি এ তিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো ১০ ও ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হচ্ছে। ইতি মধ্যে এসব উপজেলায় ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। তিন উপজেলাতে যে সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজ চলছে সেগুলো হলো ১৮মাসের প্রকল্প এসময় সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। আর কাজ শেষ হলেই তারা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন গুলো বুঝিয়ে দেবেন। নতুন ভবনের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো চালু হলে প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে যাবে। তাদের কষ্ট করে আর জেলা সদরে আসতে হবে না। নতুন ভবনের সাথে থাকবে আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও উন্নত ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা। এসব স্বাস্থ্য কমপেপ্লক্স সিজারসহ ছোট খাটো অপারেশনও হবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমানে ওষধ থাকবে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য প্রচুর বরাদ্দ দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডটি শীঘ্রই পুনঃ রায় চালু করা হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৩২১/নূসী