বাজিস-৪ : কেরানীগঞ্জের পশুর হাটগুলো সেজেছে নতুন সাজে

178

বাজিস-৪
কেরানীগঞ্জ-পশুরহাট
কেরানীগঞ্জের পশুর হাটগুলো সেজেছে নতুন সাজে
কেরানীগঞ্জ, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের পশুর হাটগুলো সেজেছে নতুন সাজে। এরই মধ্যে আয়োজকরা সেরে ফেলেছেন সকল ধরনের প্রস্তুতি। স্থানীয় খামারীদের পশু হাটে ওঠার পাশাপাশি হাটে ভিড়ছে একের পর এক ট্রাক বোঝাই গরু। ট্রলারে করেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে কোরবানীর পশু। মোট কথা ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কেরানীগঞ্জের পশুর হাটগুলো। কেরানীগঞ্জে কোরবানীর জন্য রয়েছে ২টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট। এসকল পশুর হাটের মধ্যে কোরবানীর পশু বেচা-কেনার এক বিশ্বস্ত নাম জিনজিরার পশুর হাট। রাজধানীর গাবতলী ও গনিমিয়ার হাটের পাশাপাশি জিনজিরার পশুর হাটের রয়েছে যথেষ্ঠ সুনাম সু-খ্যাতি। বহু প্রাচীন কাল থেকে চলেআসা এ হাটে পাওয়াযায় সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পশুটি। কেবলমাত্র কেরাণীগঞ্জ নয়, মুন্সীগঞ্জ, সিরাজদীখান, নবাবগঞ্জ -দোহার, কামরাঙ্গীরচর ও পুরান ঢাকার আসপাশের পশু ব্যবসায়ী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানীর পশু ব্যবসায়ীরা তাদের গরু-ছাগল বিক্রির জন্য এ হাটে আসেন। পাশাপাশি রাজধানীর আশপাশের ক্রেতারাও আসেন তাদের পছন্দসই পশুটি ক্রয়ের জন্য। বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে পুরান ঢাকার সোয়ারী ঘাটের ঠিক উল্টো পাশে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু থেকে সামান্য দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত এ হাটে যাতায়াতের জন্য রয়েছে বহুবিধ সুবিধা। একই সাথে ব্যবসায়ীদের থাকা খাওয়ার এবং টাকা পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে আধুনিক সব সুবিধাদি। দেশী-বিদেশী নানা রকমের ও উন্নত জাতের গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বেচাকেনা হয় এ হাটে। এবছর এ হাটের নিরাপত্তায় নেওয়া হচ্ছে কঠোর নজরদারি। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে যোগ হচ্ছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। জিনজিরা ফেরিঘাট থেকে জনি টাওয়ার এবং জিনজিরা বাজার থেকে মডেল থানা পর্যন্ত হাট এলাকা আনা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার আওতায় এমন তথ্য জানিয়েছেন হাট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের টাকাপয়সা লেনদেনের সুবিধার্থে হাটে থাকছে সার্বক্ষণিক মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের ব্যবস্থা। জিনজিরার পশুর হাট ছাড়াও কেরানীগঞ্জে আরো বেশ কয়েকটি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে আগানগর আমবাগিচা পশুর হাটটিও মনোরম পরিবেশে পছন্দের পশু কেনা বেচার জন্য সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে। এ হাটেও রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতায়াত ও পশু ব্যবসায়ীদের থাকা খাওয়া ও টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক সব সুবিধাদি। বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারের জন্য রয়েছে সিসিক্যামেরা। ব্যবসায়ীদের টাকাপয়সা লেনদেনের সুবিধার্থে হাটে থাকছে সার্বক্ষণিক মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের ব্যবস্থাও। দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে সেতু সংলগ্ন ও বুড়িগঙ্গা নদীর কোল ঘেষা এ পশুর হাটটিতেও রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতায়াতের সকল ধরনের সুবিধা। নৌ-পথে ও সড়ক পথে যেকোন ভাবেই এ হাটে কোন রকম যানজট ছাড়াই খুব সহজে দেশের প্রত্যন্ত সব অঞ্চল থেকে আসা যায়। যে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা শান্তিপ্রিয়ভাবে এ হাটে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা করতে পারেন। এ ছাড়াও রয়েছে হযরতপুর পশুর হাট, খাড়াকান্দি মাদ্রাসা মাঠ, রাজাবাড়ী কলেজ মাঠ, আব্দুলাহপুর মাদ্রাসা মাঠ, হাসনাবাদ বালুর মাঠ,মোল্লার বাজার পশুর হাট ও মোগারচর ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী পশুর হাট। অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে এ সকল হাটে অনেক ভালো মানের ও উন্নত জাতের কোরবানীর পশু কেনা-বেচা হয়। কোন রকম ছিনতাই-রাহাজানি ও চাঁদাবাজমুক্ত এসকল পশুর হাটে কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দেশের যে কোন অঞ্চল থেকে নিশ্চিন্তে চলে আসতে পারেন। হাট ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী কমিটি ছাড়াও এ সমস্ত পশুর হাটে রয়েছে জোড়ালো প্রশাসনিক নজরদারী।
কেরানীগঞ্জের পশুর হাটের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানী উপলক্ষে কেরাণীগঞ্জে ২টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। বিগত ৯ বছর যাবৎ সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় এসকল হাট পরিচালিত হয়ে আসছে। আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও আমরা যথেষ্ট সজাগ। রয়েছে সিসিক্যামেরার প্রয়োগ। থাকছে বেসরকারী ব্যাংকসমূহের বুথ, মোবাইল ব্যাংকিং, বিকাশ ও জালনোট সনাক্তকরণ মেশিনসহ আধুনিক সব সুবিধা।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩০০/গিউ/নূসী