বাজিস-১ : জয়পুরহাটে হাসুয়া, দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির ধূম

303

বাজিস-১ (ছবিসহ)
জয়পুরহাট-ছুরি তৈরির ধুম
জয়পুরহাটে হাসুয়া, দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির ধূম
জয়পুরহাট, ১৯ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা উদযাপন হবে আগামী বুধবার (২২ আগস্ট)। কোরবানীর পশু কেনার সঙ্গে চলে ছুরি, চাকু দা, বটি , হাসুয়া কেনার পালা। তাই শেষ সময়ে দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির ধুম পড়েছে জয়পুরহাটের কামার শালা গুলোতে।
কোরবানীর পশু জবাই ও মাংস টুকরা করার জন্য এসব অস্ত্র প্রতিটি পরিবারেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বছরের অন্যান্য সময় এ অস্ত্র গুলোর তেমন ব্যবহার না থাকায় অধিকাংশ পরিবারে মরিচা ধরে পড়ে থাকে। কোরবানীর সময় এলেই নতুন অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি অনেকেই পুরানোগুলো শান দিয়ে প্রস্তুত করেন। ফলে কাজের ধুম পড়ে যায় কামারদের দোকানে। বর্তমানে কামারশালায় দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকরা।
কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোরবানীর ঈদের সময় দা, বটি , চাকু, ছুরি, হাসুয়া তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়ে গেলেও সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গেছেন অনেকেই। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থ সংকটে পড়ে এ পেশা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে কামারদের। আগে ৪০/৫০ টাকায় এক বস্তা কয়লা পাওয়া গেলেও বর্তমানে তা আড়াই’শ থেকে ৩শ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
জেলা শহরের নতুনহাট সড়কের কামার প্রদীপ কর্মকার জানান, কোরবানীর ঈদের সময় আমাদের কাজ বেড়ে গেলেও বেচা-কেনা নেই। বছরের অন্য সময় গুলোতে কাজ খুবই কম থাকে। শান দেয়ার জন্য পড়ছে প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। দা, বটি, ছুরি , চাকু ও হাসুয়া প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ৪৫০ পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব সীমিত লাভে এ গুলো বিক্রি করতে হয়। ফলে শুধু কোরবানীর ঈদের বেচা-কেনা করে এ ব্যবসা টিকে রাখা কঠিন বলে জানান কামার সন্তোষ মহন্ত। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বেচা-কেনা কম বলে জানালেন কামার সুদেব কর্মকার। মাংস কাটার জন্য ছুরি কিনতে আসা বুলুপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, ৮০ হাজার টাকায় গরু কিনে জবাই করার জন্য ছুরি কিনতে এসেছি। বাজারে মাংস কাটার কাঠের গুড়িও বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১০০৫/নূসী