টিকাদানে বৈশ্বিক সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে জাতিসংঘের আহ্বান

494

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস ডেস্ক) : করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রাথমিক প্রচেষ্টায় বৈষম্যের কারণে গোটা পৃথিবী ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বুধবার সংস্থাটি কোভিড ১৯ এর টিকাদানে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা চালানোরও আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ব্রিটেনের আহ্বানে টিকাদান বিষয়ে প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা যোগ দিয়েছেন। এ বৈঠকে বলা হয়, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বে ২৪ লাখের বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে। এই মহামারির বিরুদ্ধে বিশ্বের একসাথে কাজ করার “নৈতিক দায়িত্ব” রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, মাত্র ১০টি দেশ এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ ডোজ নিয়েছে এবং ১৩০ টি দেশ মোটেই ভ্যাকসিন ডোজ পায়নি।
গুতেরেস বলেন, যাদের প্রয়োজনীয় শক্তি, বৈজ্ঞানিক দক্ষতা এবং উৎপাদন ও আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে তাদের সকলের একত্রিতভাবে বৈশ্বিক টিকাদান পরিকল্পনায় জরুরিভাবে অংশ নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বৃহৎ অর্থনীতির ২০টি দেশের গ্রুপ বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং অর্থায়নে ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
গুতেরেস বলেন, “যদি ভাইরাস দাবানলের মতো গ্লোবাল সাউথে (লাতিন আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ওশেনিয়া অথবা তৃতীয় বিশ্ব) ছড়িয়ে পড়তে দেয়া হয় তবে তা বারবার পরিবর্তিত হবে। এই নতুন ধরন আরো বেশী সংক্রামক, প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারে এবং এতে চলমান টিকাদান ও চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।”
“এতে এই মহামারি উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং এটি গ্লোবাল নর্থে প্লেগের মতো মহামারি আকারে ফিরে আসতে সক্ষম হতে পারে।”
জাতিসংঘ শিশু সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, “আমাদের সকলের পক্ষে এই মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো সবার জন্য টিকা পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত করা।”
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্সেলো ইবারার্ড ধনী দেশগুলোর “একচেটিয়া ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রনের” কারণে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য গভীরতর হচ্ছে, এটিকে “অবিচার” হিসেবে উল্লেখ করে তিনি এর নিন্দা জানান।