বাজিস-১২ : কোটালীপাড়ার তিন গ্রামের ক্ষুদ্র গরু খামারীরা খুশি

319

বাজিস-১২
কোটালীপাড়া-গরু
কোটালীপাড়ার তিন গ্রামের ক্ষুদ্র গরু খামারীরা খুশি
গোপালগঞ্জ, ১৮ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ৩ গ্রামের ক্ষুদ্র গরু খামারীদের মুখে খুশি ফুটে ওঠেছে। বিল বেষ্টিত এসব গ্রামের প্রায় আড়াইশ’ পরিবার সম্পর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর হাটে বিক্রি করবেন। প্রতি বছর ভারতীয় গরুতে বাজার ভরে যাওয়ায় লোকসান দিলেও এবছর শেষ মুহুর্তে ভারতীয় গরু না আসায় তারা লাভের আশা করছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সোনাখালি, তারাইল ও গোপালপুর গ্রামের অন্ততঃ আড়াইশ পরিবার। এসব পরিবারের প্রধান আয়ের পথ বেছে নিয়েছে গরু মোটাতাজা করাকে। প্রতিবছরই তারা কোরবানীর হাটে গরু বিক্রি করে লাভের টাকায় সংসার চালান।
বাড়ির চারিদিকে পানি। জমিতে ফসল নেই। বেছে নিয়েছেন গরু পালন ব্যবসাকে। যুগযুগ ধরে পূর্ব পুরুষদের এ ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
প্রাকৃতিক ঘাষ, খইল, ভূষি, ধানের খড় ইত্যাদি গরুর খাবার হিসেবে তারা ব্যবহার করেন। প্রাকৃতিক নিয়মে দেশীয় গরু মোটাতাজা করায় এখানকার গরুর চাহিদাও বেশী। এসব এলাকার গরু গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন কোরবানির হাটে বিক্রি হয়ে থাকে।
কোটালীপাড়ার সোনাখালী গ্রামের কয়েকজন ক্ষুদ্র খামারী জানান, প্রাকৃতিক ঘাস ও অন্যান্য খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করি। আমাদের প্রধান পেশাই হলো গরু মোটাতাজা করা। আমরা কোরবানীর হাটে গরু বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে এ ব্যবসা করি বলে জানালেন এ পেশার সাথে জড়িতরা।
এখানকার খামারীদের বিশেষত্ব হলো তারা গরু মোটাতাজা করতে কোন স্টরয়েড ব্যবহার করেন না। জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ থেকে গরু চাষীদেরকে প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯১৮/মরপা