বাসস দেশ-১৯ : খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৭ জন নিহত

326

বাসস দেশ-১৯
খাগড়াছড়ি-গুলি-নিহত
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৭ জন নিহত
খাগড়াছড়ি, ১৮ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ নিহত ও ৭জন আহত হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতি দলগুলোর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আকস্মিকভাবে স্বনির্ভর বাজার এলাকায় পরস্পর বিরোধী দু’গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তারা নিহত হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার জেলার স্বর্নিভর বাজার এলাকায় পাহাড়ি সংগঠন ইউপডিএফের এক কর্মসূচি শুরুর আগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এই ৭জন নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭জন। এই হামলার জন্য প্রতিপক্ষ জেএসএসকে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই নাশকতা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএনলারমা) গ্রুপের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা গোলাগুলি হয়। এসময় ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা গ্রুপের) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি তপন চাকমাসহ ৭জন নিহত হন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের অদূরে স্বনির্ভর বাজার এলাকায় আকস্মিকভাবে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় ঘটনাস্থলেই ৬জন নিহত ও হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের মধ্যে ছয় জন চাকমা সম্প্রদায়ের সদস্য। তাদের মধ্যে ইউপিডিএফ সমর্থিত ছাত্র গ্রুপ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র জেলা সভাপতি তপন চাকমাসহ পাঁচজন ছিলেন ইউপিডিএফ নেতা ও কর্মী।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত ও হাসপাতালে আনার পথে শন কুমার চাকমা (৭০) মারা যান।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ৩জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহতরা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপর নিহতরা হলেন, তপন চাকমা (২৩), এলটন চাকমা(২৮), বরুণ চাকমা (২৬), রুপক চাকমা (২৭) পলাশ চাকমা (২৩) ও জিতায়ন চাকমা (৫২)।
তপন চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এলটন চাকমা ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের যুব ফ্রন্ট এর নেতা এবং জিতায়ন চাকমা মহালছড়ি উপজেলা সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহতরা হলেন, সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরণ চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭১৬/এইচএন