আর এক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ সিপিডির

1175

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : করোনাভাইরাস অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির টেকসই পুনরুদ্ধারে আর এক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সোমবার দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এই সুপারিশ তুলে ধরে। সংলাপে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান,নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও গবেষনা পরিচালক ড.খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বক্তব্য রাখেন।
স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি,২০২১ পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প খাত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অবদান রয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা প্রণোদনা সুবিধা ভালভাবে পায়নি। তাদের দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হলে আর এক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে।
সংস্থাটির মতে করোনা অতিমারিতে বিনিয়োগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই নতুন আর একটি প্রণোদনা প্যাকেজ এমনভাবে দিতে হবে, যেখানে কর্মসংস্থান তৈরি ও ক্ষুদ্র শিল্পখাত যেন প্রাধিকার পায়।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনা পরবর্তী আমাদের অর্থনীতির পুণরুদ্ধারের অবস্থা মিশ্র। সরকারি বিনিয়োগের অবস্থা ভালো। কিন্তু করোনায় বেসরকারি বিনিয়োগ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই অর্থনীতির টেকসই পুণরুদ্ধারে আরেক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ করেন তিনি। একইসাথে তিনি এ বছরের সংশোধিত বাজেটে বিনিয়োগবান্ধব কর্মসূচির প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন।
ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন,চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস অর্থনীতি ভালভাবে সময় পার করেছে। এক্ষেত্রে উচ্চ রেমিটেন্স প্রবাহ, রপ্তানি আয় ও কৃষিখাত বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের মধ্যে রাজস্ব সংগ্রহ ভাল আছে। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর সমালোচনা করেন। বলেন, বার বার সময় বৃদ্ধি করে আদতে লাভ হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কাঙ্খিত পর্যায়ে প্রণোদনা সুবিধা পাচ্ছে না।
সিপিডি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে চালের বর্তমান মজুদ ৭ লাখ মেট্রিক টন বাড়িয়ে দশ লাখ টনে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।