সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের

298

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘ জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশের সংবিধানের বিধান। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। বিএনপির এ ধরনের দাবী মামার বাড়ীর আবদার ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসলে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে বিএনপির নেতাদের মন্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবীর আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশ ও আন্দোলনে সৃষ্ঠ বিভিন্ন গুজব নিয়ে ‘ গুজব সন্ত্রাস অপপ্রচার – রুখে দাড়াও বাংলাদেশ ’ শীর্ষক এ তথ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব এবং দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তথ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, ভিকারুন-নিসা নুন স্কুলের শিক্ষার্থী জাফরিন আহমেদ রুপন্তী ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী নামরাজ হোসেন শামীম।
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত তথ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান প্রজম্মের ছেলে-মেয়েরা যে ভাল বুঝে তা আমাদেরও বুঝতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাই ঘরে ফিরে গেছে।
তিনি বলেন, যাদের কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারিনি শিক্ষার্থী তাদের টনক নড়িয়ে দিয়েছে। ভিআইপিরা উল্টো পথে গাড়ী চালানো পরিহার করতে যেমন পারে নি তেমনি লাইসেন্স ছাড়া অনেক ভিআইপি ও কর্মকতাদের গাড়ী শিশুদের হাতে ধরা পড়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবীর যে আন্দোলন তা যৌক্তিক আন্দোলন ছিল। আর সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ৯ দফার সব দাবী মেনে নিয়েছেন। তাদের আন্দোলনের সময় তাদের ওপর যাতে কোন ধরনের বল প্রয়োগ করা না হয় সে ব্যাপারেও কঠোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে যাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তারা তাদের রাজনীতি থেকে সরবে না। তারা তাদের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামে।
তিনি বলেন, তারা (সাংবাদিক) কি ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনীতিকরণের এজেন্ডার সঙ্গে ছিলেন না? এখনও তাদের ভূমিকা একই রয়েছে। এখনও তারা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এ এজেন্ডা নিয়ে তারা আবারো মাঠে নেমেছে।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মাঠে নেই, খবরের কাগজে আছে। এখন দেশে কোন আন্দোলন নেই গুজবে রয়েছে। নাওশেবা নামে যে মেয়েটি ধর্ষণের গুজব ছড়িয়েছিল সে গুজব বেশ কয়েকটি কাগজে খবর হয়েছিল। কিন্তু সে গ্রেফতার হওয়ার পর সে যে গুজব ছড়িয়েছিল বলে জানিয়েছে, সে খবর কোন কাগজে তা ছাপা হয় নি। যা কখনো কাম্য নয়।