জয়পুরহাটে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

339

জয়পুরহাট, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলায় কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে কেনা-বেচা জমে উঠেছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ কর্মসূচীর আওতায় খামারীদের নিকট বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৫ টি পশু মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব। ছোট বড় মিলে জেলায় ১৫ হাজার ১ শ ৯৩ টি পশুর খামারে বিক্রয় উপযোগি মজুদ পশুর সংখ্যা হচ্ছে ষাঁড় ১৬ হাজার ৮শ ৩৩ টি, বলদ ১৭ হাজার ৭ শ ৯৬ টি, গাভী ১৫ হাজার ৫ শ ৭৭ টি, ছাগল ৬৮ হাজার ৯০৮ টি ও ভেড়া রয়েছে ১২ হাজার ৫ শ ১১ টি।
জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতা সূত্রে জানা যায়, সর্বনি¤œ ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত গরু কেনা বেচা হয়েছে বলে জানান গরু ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান। সরকারের নানামূখী আয় বর্ধন মূলক কর্মসূচীর ফলে সাধারন মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। গরু-ছাগল পালন ও মোটা তাজা করণ কর্মসূচীর কারণে গ্রাম গঞ্জেও তেমন অভাব দেখা যায়না। জেলার নতুনহাট, জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি, দূর্গাদহ, বটতলী, ইটাখোলা, পুনট, আক্কেলপুর কোরবানীর পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, সামর্থ অনুযায়ী ক্রেতারা তাদের গরু-ছাগল কিনছেন। কেশবপুর গ্রামের নুরল ইসলাম ৫০ হাজার টাকায় ৭৫/৮০ কেজি ওজনের একটি গরু কিনেছেন। বাজারে ১১০ থেকে ১২০ কেজি মাংশ হবে এমন গরু বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। জেলা শহরের হারাইল এলাকার খামারী সালাম পোদ্দার একটি গরুর দাম হাকছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাজারের সেরা গরু এটি। শহরের নতুনহাটে ওঠা ওই গরুটির ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম করছেন ক্রেতারা। ভারতীয় গরু না আসলে খামারীরা এবার লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশার কথা জানান কুঠিবাড়ি ব্রিজ এলাকার খামারী দুলু মিয়া ও বনখুর গ্রামের জয়। গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। ১৫ থেকে ২৫ কেজি মাংস হবে এমন ছাগল ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। জাল টাকা শনাক্ত করণের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মেশিন বসানো হয়েছে। প্রতিটি হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগের ভ্যাটেনারী সার্জনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম সার্বক্ষণিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান, জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মামসুনূর রশীদ । বাজারের আইনশৃংখলা রক্ষায় হাট কমিটির পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী রয়েছে হাটবাজার গুলোতে। হাটবাজার গুলোতে দেশীয় গরুর আমদানী বেশী হলেও ভারতীয় গরু কম দেখা যাচ্ছে। তবে দেশী গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। দেশের অন্যান্য জেলা বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে আগত ব্যবসায়ীরা গরু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানিয় ব্যবসায়ীরা।