শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ডাম্প ফেরি চালু

307

মুন্সীগঞ্জ, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : নাব্যতা সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি সার্ভিসে শনিবার ৮ম দিনেও অচলতা পুরোপুরি কাটেনি। শনিবার এ রুটের মূল চ্যানেল লৌহজং টার্ণিংয়ে নাব্যতা সংকট নিরসন করে পুরোপুরি সচল করার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। এখনও রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার ৮ম দিনের মাথায় জোড়াতালি দিয়ে সচল করা হয়েছে ডাম্প ফেরি। সকাল ২টি ডাম্প ফেরি অপেক্ষাকৃত কম ছোট গাড়ি লোড করে কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষামান আরও ৪টি ডাম্প ফেরিতেও ছোট গাড়ি লোড করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ ফেরিগুলোও চালানোর চেষ্টা করা হবে। তবে এ রুট এখনও কোন ভাড়ি যানবাহন নিয়ে ফেরি চলার উপযোগি হয়নি। এ সময়ে প্রতিদিন শতশত বাস পার করা হলেও পরবর্তীতে হয়ত ৪০/৫০টির বেশি বাস পার করা সম্ভব হবে না। মোট কথা ঈদে ঘরমুখো মানুষকে বরাবর শিমুলিয়া ঘাট যে সেবা দিয়ে থাকে এবার তা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। প্রতিদিন সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ শনিবার সকালে জানান, ঈদুল আযহার আর মাত্র তিন দিন বাকী। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সড়কপথে যোগাযোগের পথ এটি। ইতোমধ্যে ঈদের ছুটি পেয়ে গেছেন অনেকে। বাড়ি যেতে হবে। ভিড় করছেন ঘাটে। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের বসে থাকতে হচ্ছে। এ সময় প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার যান এ ফেরি দিয়ে আমরা পার করতাম। আর এখন সেখানে হাজার বারশ’ যান চলছে। আজ শনিবার ডাম্প ফেরিগুলো চালাচ্ছি। আজ হয়তো একটু বেশি গাড়ির পার করতে পারব।
তিনি আরও বলেন এখন ফেরি চলছে ওয়ানওয়েতে। অর্থাৎ এক দিক থেকে আসা ফেরি চ্যানেলে থাকলে অন্য দিক থেকে আসা ফেরিকে চ্যানেলের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় বেশি লাগবে। আর কোন ভাবে যদি দুটি ফেরি চ্যানেলে ঢুকে যায় তাহলে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তাই ফেরিগুলো চলতে হবে সতর্কতার সাথে। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে বলা যাচ্ছে না। এজিএম বলেন গত ৬/৭ দিন ধরে এ ঘাটে কোন ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আটকা পড়া ট্রাকগুলো একটা দুটো করে পার করা হচ্ছে।
প্রায় তিন মাস আগে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে পলি পরে নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে একটি ডুবো চরের সৃষ্টি হয়। মে মাস থেকে এ ডুবোচর নিরসনে ড্রেজিং চলছে। তারপর নাব্যতা সংকট দূর হচ্ছে না।