ডিজিটাল প্লাটফর্ম নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়েছে : এডিবি

416

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ভিত্তিক যন্ত্রপাতি এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে সকল ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পকল কারখানায় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ি করোনাভাইরাস কোভিড -১৯ এরমধ্যেও অঞ্চলের টেকসই অর্থনীতিতে এই ধারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে আজ এ খবর জানানো হয়।
এডিবি’র প্রকাশনা এশিয়ান ইকোনোমিক ইন্টেগ্রেশন রিপোর্ট -২০২১ এ বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে ব্যবসা বাণিজ্য, আন্তসীমান্ত বিনিয়োগ, আর্থিক সম্প্রক্ততা এবং জনগণের চলাচলের ওপর করোনার প্রাথমিক প্রভাব যাচাই করা হয়েছে।
এই রিপোর্টে ইনক্লুসিভ ও টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা ও গুরুত্ব, ডিজিটাল প্রযুক্তি এ অঞ্চলে করোনা পরবর্তীতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কি ভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
এডিবি’র মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইয়াসুযুকি সাবাদা’র উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে সারাবিশ্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যবসা থেকে ভোক্তা রাজস্ব ৩.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মোট রাজস্বের মধ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলে অজির্ত হয়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ, বা ১.৮ ট্রিলিয়ন মাকির্ন ডলার, যা অঞ্চলের জিডিপি’র ৬ শতাংশের সমান।
২০২০ সালে এর পরিমান উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়। কেননা এ সময়ে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রন প্রচেষ্টায় বিধিনিষেধ আরোপিত হওয়ায় ই-কমার্সের মাধ্যমে অধিক ব্যবসা বানিজ্য হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পযর্ন্ত গড়ে বছরে বৈশ্বিক ব্যবসা ৪.৩ ট্রিলিয়ন বেড়ে ডিজিটাল সেক্টরের আকার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলে বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৭ ট্রিলিয়ন অথবা ২০২৫ সাল পযর্ন্ত ৫ বছরে মোট ৮.৬ ট্রিলিয়নের বেশি হতে পারে। ২০২৫ সাল পযর্ন্ত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সমূহে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রতিবেদনে তথ্য প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা এবং সরকারি ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।