সার্জারির জন্য ইয়েমেনের যমজ শিশু জর্ডানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে : ইউনিসেফ

219

সানা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস ডেস্ক) : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে জন্ম নেয়া সংযুক্ত যমজ শিশুকে পৃথকীকরণে শল্যচিকিৎসার জন্য শনিবার জর্ডানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ শিশু সংস্থা বলেছে, যমজ শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে হাসপাতাল সতর্ক করার পর এই উদ্যোগ নেয়া হলো।
আল সাবেন হাসপাতালের পরিচালক মাজদা আল কাতিব এএফপিকে বলেন, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় জন্ম নেয়া শিশুর ইকোকার্ডিওগ্রামে দেখা যায়, দুই সন্তানেরই নিজস্ব হৃদপিন্ড রয়েছে, তবে একজনের হৃদপিন্ডের অবস্থা স্বাভাবিক নয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালের স্বল্প সক্ষমতায় চিকিৎসকরা যমজের কোন অঙ্গ সংযুক্ত রয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারছেন না।
ইউনিসেফ শনিবার বলেছে, যমজ শিশুদের মেডিকেল ব্যবস্থাপনায় আজ সকালে জর্ডানের আম্মানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে তাদের পৃথকীকরণের জন্য সার্জারি করা হবে।
ইয়েমেনে ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফিলিপপি ডুয়ামেল্লি এক বিবৃতিতে বলেন, “কয়েক সপ্তাহের আয়োজনে তারা এখন দক্ষ সার্জনদের নিরাপদ হাতে রয়েছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই তারা সুস্থ হয়ে সানায় ফিরবে।”
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রন করছে, তারা সৌদি সমর্থিত সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এই সংঘাতের কারণে আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশটির স্বাস্থ্য সেবা ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে পড়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আরোপিত বিমান অবরোধের কারণে সানা বিমান বন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে, তবে জাতিসংঘের ফ্লাইট উড্ডয়নের অনুমতি রয়েছে।
ইউনিসেফ বলেছে, যমজ সন্তানের মা (৩৫) এবং বাবা এই সফরে বাচ্চাদের সঙ্গে রয়েছেন।
এজেন্সি জনায়, এই অপারেশন এবং আনুসঙ্গিক ব্যয় মেটাতে একাধিক বেসরকারী দাতা ব্যক্তিদের সহযোগিতার জন্য সংস্থা তাদের ধন্যবাদ জানায়।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এধরণের যমজ শিশুর জরুরি চিকিৎসার সংকটে জন্মের দুই সপ্তাহ পরে সানায় মারা যায়।