যুদ্ধাপরাধে আরো দুই মামলা রায়ের অপেক্ষায়

350

ঢাকা, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে আরো দুই মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
গত ২১ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রাখা হয়েছে। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৩২ তম রায়। অপরদিকে মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের বিরুদ্ধে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৭ মার্চ মামলাটি যে কোন দিন রায় ঘোষণার (সিএভি) জন্য রাখা হয়েছে। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৩৩ তম রায়। এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির সময় আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার (৭৩) হাজির ছিলেন। বাকি তিন আসামি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া পলাতক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল পৃথক মামলার রায় ঘোষণা করবে।
প্রসিকিউটর সায়েদুল হক সুমন আজ বাসস’এর সঙ্গে আলাপকালে শিগগিরই এ দুই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ পর্যন্ত ৬২ মামলায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এর মধ্যে ৩৩ মামলার বিচার শেষ হয়েছে। ৩১ টির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ২ টি মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আনা এটিএম আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ মো. কায়সার ও মাওলানা আবদুস সুবহানের আপিল মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে আজহারকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা সুবহানকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত এই তিন আসামীই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে।
এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল। আরো বেশকটি মামলা আপিলে নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব মামলার শুনানি ও নিস্পত্তি হবে বলে জানান এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।