সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব প্রেরণ

647

ওয়াশিংটন, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস ডেস্ক) : মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সিনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এ ধরণের উদ্যোগ এই প্রথম।
আর এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুরু হলো আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় দফার চ’ড়ান্ত অভিশংসন প্রক্রিয়া । এর আগে ২০১৯ সালে ইউক্রেন কেলেঙ্কারির কারণে কংগ্রেসে ট্রাম্প প্রথম দফায় অভিশংসিত হন।
স্থানীয় সময় সোমবার প্রতিনিধি পরিষদের ৯ সদস্য অভিশংসন প্রস্তাবটি সিনেটে পৌঁছে দেন। এরপর মূল ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার প্রতিনিধি জ্যামি রাসকিন ট্রম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি পড়ে শোনান।
এতে বলা হয়, ডোনাল্ড জে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে বড় ধরণের অপরাধ ও অপকর্ম করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অখন্ডতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেন।
গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্টে জো বাইডেনের বিজয়কে সার্টিফাই করার সময় ট্রাম্পের আহ্বানে ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হওয়া সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। এতে ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর পর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে খুব দ্রুত প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে গৃহীত হয়। ভোটাভুটির সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজ দলের ১০ জন আইনপ্রণেতা এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয় দফায় অভিশংসিত ট্রাম্পের বিচার সিনেটে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ডেমাক্রেট দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটর চাক শুমার বলেছেন, সিনেটের ১শ’ সদস্য মঙ্গলবার শপথ নেবেন। তারাই বিচারক হিসেবে কাজ করবেন।
এদিকে ট্রাম্পের বিচার দু’সপ্তাহ বিলম্ব করতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলই সম্মত হয়েছে। ট্রাম্পকে অভিযোগ মোকাবেলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কেবিনেটকে অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্যে এ সময় নেয়া হয়।
ট্রাম্পকে চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত করতে প্রস্তাবটিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস করাতে হবে। সিনেটে বর্তমানে ১শ’ আসনের মধ্যে ৫০ ডেমাক্রেট ও ৫০ রিপাবলিকানদের। অভিশংসন প্রস্তাব পাশ করাতে অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে।
ট্রাম্প প্রথমবার অভিশংসন থেকে সিনেটে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আর কখনও কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।