খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বৈসাবি উৎসব শুরু

410

খাগড়াছড়ি, ১১ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈ-সা-বি-কে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বৈসাবী’কে বরণ করতে আজ বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে সকালে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণিল পোশাকে তরুণ -তরুণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের হাজারো হাজারো নারী-পুরষ র‌্যালিতে আংশ গ্রহণ করেন। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধানসড়ক ঘুরে খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাংগনে উদ্বোধন করা হয় দিন ব্যাপী বৈসাবি উৎসবের। উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নুরুল আমিন ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলী আহন্মেদ খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমাসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিঝ’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।
এদিকে আগামীকাল নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূলত: খাগড়াছড়িতে শুরু হবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি।ঐদিন সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো হবে। ১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। ঐদিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্নায় গঙ্গা দেবীর পূজা আরাধনা করবেন। ১৪ এপ্রিল পালিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব বাংলা নব বর্ষের র‌্যালি।
উল্লেখ্য ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।