মার্চ অথবা এপ্রিলে করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারেন মোদি

352

নয়াদিল্লী, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন নিতে পারেন। বর্তমানে দেশব্যাপী প্রথম পর্যায়ে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
বুধবার এই কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী, এমপি, এমএলএ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী সাধারণ জনগণ এই টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন নেবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি এই টিকাদান কর্মসূচির প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩০ মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কর্মীরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচিটির দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০ মিলিয়ন লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
আজ হিন্দুস্তান টাইমস এই টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘মোদি (৭০) দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা নিতে পারেন। তবে, তার টিকা গ্রহণের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।’
ভারতীয় প্রধনমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ‘প্রথম পর্যায়ের টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পালা এলে তিনি ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। তিনি (মোদি) মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠককালে বলেছেন যেÑ রাজনীতিবিদদের লাইন ভাঙ্গা উচিৎ নয় এবং যখন তাদের পালা আসবে, কেবল তখনই তাদের ভ্যাকসিন নেয়া উচিৎ।’
ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্টার মার্চ অথবা এপ্রিল মাসে মোদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
কিন্তু, ভারত কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য যে দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছেÑ সেগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে কোনটি দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যে দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে সেগুলো হলো- অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেসা উদ্ভাবিত ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাকসিন’।
এদিকে, নিতি আয়োগের স্বাস্থ্যকর্মী ডা. বিনোদ পাল এবং সরকারের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাদান কর্মসূচিটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক ও সকল রাজনৈতিক কর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
ডা. পাল বলেন, বর্তমানে, প্রায় ১০ মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অন্যান্য সম্মুখ সারির কর্মীদেরও সম্ভবত ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্টার ডা. হর্ষ ভার্দান বলেন, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর।