বাসস দেশ-৩৩ : বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়ে সার্ভিস পুল গঠনের পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর

328

বাসস দেশ-৩৩
আমু-পুল-পরামর্শ
বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়ে সার্ভিস পুল গঠনের পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) থেকে অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, রসায়নবিদ ও প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে একটি ‘অপরারেশন অ্যান্ড ম্যান্টেইনেন্স অ্যাসিসটেন্স সার্ভিস’ পুল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, ‘এ সার্ভিস পুলের সদস্যরা বিসিআইসিসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে কারিগরি সেবা দিতে পারবে। ফলে বিদেশি বিশেষজ্ঞের পরিবর্তে দেশেই সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ^মানের কারিগরি সেবা পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে দেশের শিল্পখাত দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।’
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (কইকা) সহযোগিতায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (টিআইসিআই)’ এর ‘আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আমিনুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে পৃথকভাবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন।
এতে সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ডং-জুন লি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জু হাং-গু, বিসিআইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ শাহিন কামাল, টিআইসিআই এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক মোঃ এনায়েত আলী এবং বর্তমান নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী অমল কান্তি বড়–য়া আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদারের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগরি জনবলের বিকল্প নেই। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলেও কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ হচ্ছে অর্থনীতির মেরুদন্ড। দক্ষ জনশক্তির ওপর দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিল্পায়ন ও রেমিট্যান্স আয় নির্ভর করে। উন্নত দেশগুলোতে শতকরা ৬০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা নিলেও বাংলাদেশে এর পরিমাণ এখনও শতকরা ১৫ ভাগের নিচে। দেশের শিল্প কারখানায় দক্ষ টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীর চাহিদা মেটাতে সরকার টিআইসিআই স্থাপন করেছে বলে তিনি জানান।
আমির হোসেন আমু আরও বলেন, টিআইসিআইয়ে প্রশিক্ষিত জনবল রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে শুরু থেকেই ভূমিকা রাখছে। এর ফলে পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়েও বিসিআইসির আওতাধীন সার কারখানাগুলো সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু সার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় উৎপাদনের চাকা সচল রাখতে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে শিল্পখাতে বিশেষায়িত কারিগরি সেবার চাহিদা পাল্টে যাচ্ছে। পরিবর্তিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় বর্তমান সরকার টিআইসিআই এর আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার সাথে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহের বিষয়টি জড়িত। সুষ্ঠু সার ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সার কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনের তাগিদে বাংলাদেশ অনেক কিছু আমদানি করলেও সার উৎপাদনে এ দেশের সক্ষমতা বিশ^মানের। আমদানিকৃত খাদ্য দিয়ে কোনোভাবেই দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। খাদ্য উৎপাদনের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে তারা টিআইসিআই এর মত কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
বাসস/সবি/এমএন/১৮৫০/-শহক