কুমিল্লার লালমাই পাহাড় কাটায় দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

555

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড় কাটায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড ও হক এন্টারপ্রাইজ জেভিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ওই টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন আজ টেলিফোনে জানান, পাহাড় কাটার অভিযোগের শুনানি শেষে এই জরিমানা করা হয়। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ওই কর্মকর্তা ।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও সওজ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া থেকে লোলবাড়িয়া, রতনপুর হয়ে চন্ডিমুড়া মগবাড়ি পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার সড়কের সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। কাজটি যৌথভাবে করছে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড ও হক এন্টারপ্রাইজ জেভি। তারা সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে বড় ধর্মপুর এলাকায় বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটে। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে তিনি লালমাই পাহাড়ের ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩০ ঘনফুট মাটি কাটার বিষয়ে নিশ্চিত হন। বিষয়টি তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের কাছে গত ১১ নভেম্বর এক প্রতিবেদন জমা দেন। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম অঞ্চল গত ২৮ ডিসেম্বর শুনানির জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি দেয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কুমিল্লার আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ এবং প্রসিকিউশন পক্ষে চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্রীরূপ মজুমদার অংশ নেন। শুনানিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম পুনরায় সময় চেয়ে আবেদন করেন। সময়ের আবেদনের যৌক্তিক প্রেক্ষাপট না থাকায় সেটি মঞ্জুর না করে সওজের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। শুনানিতে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাঁদের অজান্তে পাহাড় কেটেছে এবং প্রকৌশল বিভাগকে অবহিত করেনি।