মিসরে বিক্ষোভ দমনে দোষী ব্যক্তিদের বিচার না করায় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিন্দা

392

বৈরুত, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ২০১৩ সালে মিশরে বিক্ষোভ দমনকালে কয়েকশ লোকের মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর দায়ী সদস্যদের বিচার না করায় মিশরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট, কায়রোর বিখ্যাত রাবা আল-আদাউইয়া স্কোয়ারে ইসলামপন্থীরা সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই বিক্ষোভ দমনে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওই দমন অভিযানে অন্তত ৯শ’ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি এটি ‘মিশরের মানবাধিকার লংঘনের একটি ভয়াবহ রূপ।’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ওই গণআন্দোলনের পর থেকে মুসরির রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃবৃন্দসহ কয়েকশ’ ইসলামপন্থীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কিন্তু ওই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যেরও বিচার হয়নি।
অ্যামনেস্টির উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক প্রচারণা পরিচালক নাজিয়া বৌনাইমি বলেন, ‘বিচার না হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মানবাধিকার লংঘন করেও দায়মুক্তি পেয়েছে। তাদেরকে মানবাধিকার লংঘনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল।’
মিশরীয় কর্মকর্তারা ২০১৩ সালের ওই রক্তক্ষীয় ঘটনার জন্য বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে দায়ী করে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি মুরসিকে উচ্ছেদের পর অস্থিরতা দমনে জড়িত জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দিয়ে গত মাসে একটি আইন অনুমোদন করেছেন।