ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তি ও উন্নত জাত ব্যবহার করতে হবে

585

শেরপুর, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : দেশে প্রতিনিয়ত জমির পরিমাণ কমলেও বাড়ছে খাদ্য চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে ফসল উৎপাদনে লাভজনক শস্যবিন্যাস প্রযুক্তি ও উন্নত জাত ব্যবহার করতে হবে। এক জমিতে ৩/৪ ফসল করা গেলে ফলন বাড়বে। এজন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের ১১২ টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। শেরপুরে ‘বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও উন্নতজাতের পরিচিতি’ শীর্ষক এক কৃষক ওয়ার্কশপে মুঠোফেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
শেরপুর খামারবাড়ী মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় দিনব্যাপী এ কৃষক ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়।
ওয়ার্কশপের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন বিনা’র পরিচালক (গবেষণা) ড. হোসনে আরা বেগম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ, শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এফএম মোবারক আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য উৎপাদন) সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। বিনা ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল মালেক এবং বিনা নালিতাবাড়ী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন। এসময় তারা কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে অল্প সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করেন। একইসাথে বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষকরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন সেসব বিষয়ে শুনে তার প্রতিকারে পরামর্শ প্রদান করেন। বিনা ময়মনসিংহ আয়োজিত এ কৃষক ওয়ার্কশপে উপজেলা সদর, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ৬০ জন কৃষক-কৃষাণী ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকার ীকর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।