প্রযুক্তি হস্তান্তর ত্বরান্বিত করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

568

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি জাত কৃষকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। সেজন্য যা যা করা দরকার তা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকের নিকট পৌঁছে দিতে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গবেষণা-স¤প্রসারণ সংযোগ। দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ইতিমধ্যে ফসলের অনেকগুলো উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংযোগ বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোও অনেক নতুন প্রযুক্তি ও জাত নিয়ে এসেছে। এগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে ‘গবেষণা স¤প্রসারণ সংযোগ এবং নীতি উন্নয়ন শক্তিশালী করণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিএআরসি ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি-২) ফেইজ টু’র আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
কর্মশালায় জানানো হয়, এনএটিপি-২ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিষয়ে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রযুক্তি স¤প্রসারণ এবং সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে মান ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকদের বিশেষ করে ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা এবং আয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা।
এনএটিপি-১ সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক প্রকল্পটিকে ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রকল্পটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারকে পুনরায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। ফলে, কৃষি মন্ত্রণালয় (লিড এজেন্সি) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এনএটিপি-২ প্রকল্পটির দ্বিতীয় ফেজের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে যা ২০১৫ সালে শুরু হয়েছে ও ২০২১ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে।
প্রকল্পের গবেষণা অংশের আওতায় ১৯০টি ‘প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা অনুদান (সিআরজি) গবেষণা উপ-প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যর্পূণ ৬৯ টি হস্তান্তরযোগ্য ও উন্নত প্রযুক্তি (শস্য-৪৮, প্রাণিসম্পদ-১০, মৎস্য-১১ টি) উদ্ভাবিত হয়। ইতিমধ্যে ১১টি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে স¤প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে এনএটিপি’র প্রকল্প পরিচালক মো. মতিউর রহমান, কেজিএফ’র নির্বাহী পরিচালক ড. জীবনকৃঞ্চ বিশ্বাস, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএআরসি’র পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আক্কাস আলী।