বাল্লা স্থলবন্দরের জমি বুঝে পেল কর্তৃপক্ষ

458

হবিগঞ্জ, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় বাল্লা স্থলবন্দর বন্দরের ১৩ একর জমি বুঝে পেল বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে সোমবার জমির দখল হস্তান্তর করেছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারেক মো. জাকারিয়া স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলামের প্রতিনিধি স্থলবন্দর সচিব মো. আমিনুল ইসলামের কাছে এ জমি হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ, ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দিন রেজা, সহকারি প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
১৯৫১ সালে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বাল্লা নামক স্থানে ৪ দশমিক ৩৭ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাল্লা স্থলশুল্ক বন্দর চালু করা হয়। সেই স্থলশুল্ক বন্দরটি দিয়ে সিমেন্টসহ বিভিন্ন পন্য রপ্তানি হয়ে থাকে। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলছে খোয়াই নদী। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে শ্রমিকরা মাথা ও কাঁধে করে পণ্য আনা-নেয়া করে থাকেন। ফলে একদিকে ঝুঁকি, অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানিকারকদের অর্থ ব্যয় হয় বেশি।
এ সমস্যা দূর করতে ২০১২ সালের ১১ জুন ভারত ও বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রতিনিধি দল কেদারাকোট এলাকাটি পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষই শুল্কস্টেশনের দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কেদারাকোটে স্থলবন্দর করার ব্যাপারে একমত হয়। ২০১৭ সালে ৮ জুলাই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষর চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বন্দর পরিদর্শনে এসে জানান একনেক সভায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে এবং এটি দেশের ২৩তম স্থলবন্দর। অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এরপর স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ২১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবিত জমিতে বসতবাড়ি থাকায় আপত্তি জানান স্থানীয়রা। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্থলবন্দরের জন্য ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোর্ট নামক স্থানে বাল্লা স্থলবন্দরকে দেশের ২৩তম স্থল বন্দর ঘোষণা করেন তৎকালীন নৌ পরিবহন মন্ত্রী মো. শাহজাহান খান।
গত সোমবার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দখল বুঝে নেয় তাদের অধিগ্রহণকৃত ১৩ একর জমি। ইতোমধ্যে বন্দরের অবকাঠামোসহ সকল স্থাপনা নির্মাণের এসেসমেন্টও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. আমিনুল ইসলাম।