বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর : ১০১ জন সাবেক সচিব

448

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রজাতন্ত্রের ১০১ জন সাবেক সচিব আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এটি কেবল ধৃষ্টতাই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সাবেক সচিবগণ বলেন, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য শিল্পের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং তাঁর ভাস্কর্যের অবমাননার অপচেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, যা কেবল ধৃষ্টতা নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর।
তারা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি স্পন্দনে আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাই। আমাদের অস্তিত্বের অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন স্বত্বা। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অবমাননার সমার্থক।’
সচিবগণ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ’৭৫ এর ঘাতকদের দোসর।’
অবিলম্বে এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত কর্মকান্ডে যুক্ত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে তারা ভাস্কর্যশিল্প তথা সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারী মৌলবাদের মূলোৎপাটনের আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন লগ্নে স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্রবাদী অপশক্তির এহেন সংস্কৃতি বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড বাংলাদেশের অব্যাহত প্রগতির অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা। এ বিষয়ে তারা সরকারের কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সচেতন ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
বিবৃতিদাতা সচিবদের মধ্যে রয়েছেন- এম আজিজুর রহমান, কাজী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মো. নজিবুর রহমান, ড. মো. আব্দুর রব হাওলাদার, নজরুল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, কামরুননেসা খানম, মো. জিয়াউল ইসলাম, খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, কাজী আখতার হোসেন, ড. মো. মাহফুজুর রহমান, উজ্জল বিকাশ দত্ত, মো. আজিজুর রহমান, শফিকুল আলম মেহেদী, কানিজ ফাতেমা, মিজানুর রহমান, ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুস, মোনায়ার ইসলাম, আ. ল. ম. আবদুর রহমান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন খালিদ, কে. এইস. মাসুদ সিদ্দিকী, ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ, নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, মো. গোলাম হোসেন, মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, মো. শাহ আলম খান, মো. নাসিরউদ্দিন, মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন প্রমুখ।