প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে এনআরবিসি ব্যাংক

477

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলের কটেজ, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প এবং কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছাতে প্রথাগত শাখা নির্ভর ব্যাংকিং ধারণা থেকে বের হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উপ শাখা সেবা চালু করেছে। ব্যাংকিটর মূল লক্ষ্য অফলাইন থেকে সম্পুর্ণ ডিজিটাইলজড অনলাইন সেবা চালু। এতে ব্যাংকের কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল এসব কথা বলেন।
এসময় ব্যাংকের পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এএম সাইদুর রহমান, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুখতার হোসেন, অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা,আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান কবীর আহমেদ ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হারুনুর রশিদসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঋণ দিচ্ছে। বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মানুষের সেবা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুথ ও উপ শাখা স্থাপন করছে ব্যাংকটি। ইতোমধ্যে দেশের ৫৫০টি পয়েন্টে এনআরবিসি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া গত তিন বছরে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণসহ আর্থিক সূচকগুলোতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, প্রবাসীদের স্বপ্নের ব্যাংক এনআরবিসি। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করা। ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩৬৭ টি উপ শাখা চালু করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে অবস্থিত। গরীব মানুষের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ঋণদেওযা হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিআরটিএ লাইসেন্স, ইটিআইএন, অনলাইন জমি রেজিষ্ট্রেশন অর্থ আদায় কার্যক্রমে চতুর্থ প্রজম্মের এনআরবিসি ব্যাংক বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করছে। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে আজ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট উদ্ধোধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকটিকে আইটি নির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ইকেওয়াইসিসহ, ঋণ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। আমরা রিয়েল টাইম সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং আগামীতে আরও সহজ করতে প্রতিশ্রুত বদ্ধ। অফলাইন থেকে ব্যাংকিং সেবা অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকে কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স পরিপালন সহজ হবে। আমাদের প্রধান কাজ জনগণের আমানতের সুরক্ষা, স্বচ্ছ বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগ থেকে আয় করে তা আমানতকারীদের মুনাফা হিসেবে প্রদান করা। এটির জন্য সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পারভেজ তমাল বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর প্রথমকোন ব্যাংক পুজিবাজারে আসতে যাচ্ছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা মূল্যমানে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হব। চতুর্থ প্রজন্মের অন্যান্য ব্যাংকও চাইলে এভাবে পুঁজিবাজারে আসতে পারে।