২০২১ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ উন্নীত হবে : এডিবি

553

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০২ (বাসস) : ২০২১ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশে ঘুরে দাঁড়াবে, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর আগে যা কল্পনা করা হয়েছিল তার নিচে থাকবে।
“এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০ প্রতিবেদন: মহামারী থেকে পরিত্রাণের পথ”-এ বলা হয়, বিকাশমান এশিয়ার (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৬টি এডিবি সদস্য দেশের অর্থনীতি) সামগ্রিক পূর্বাভাস ২০২০ সালে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, যা সেপ্টেম্বরে ধারণা করা হয়েছিল ০ দশমিক ৭ শতাংশের কম।
এডিও বলেছে, পূর্ব এশিয়ার ২০২০ সালের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি এখনও ৭ দশমিক ০ শতাংশ পূর্বাভাস করা হয়েছে। ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস ৬ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ২০২১ সালে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানি ও রেমিটেন্স উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রত্যাশার তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরো জোরালোভাবে পুনরুদ্ধার লাভ করেছে। তবে প্রধান রপ্তানি গন্তব্যগুলোতে কোভিড-১৯ মহামারী পুনরায় ছড়িয়ে পরার কারণে বাহ্যিক ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ সংকোচন এখন ২০২০ সালে (পূর্বে ৩.৮ শতাংশ) এবং ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রত্যাশা করা হয়। মধ্য এশিয়া এখনো এই বছর ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালে চীনের জিডিপি ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ভারতের জিডিপি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।
এই প্রতিবেদনের প্রধান উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ২০২০ সালে পূর্ব এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চীন আশার চেয়েও দ্রুত পুনরুদ্ধার রাভ করছে। ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি এখনও ৭ দশমিক ০ শতাংশ পূর্বাভাস করা হচ্ছে।
ডিপ্রেসড ডিমান্ড এবং তেলের কম দাম আঞ্চলিক মুদ্রাস্ফীতি ২০২০ সালে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।