ভোলা মুক্ত দিবস আগামীকাল

2622

ভোলা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ (বাসস) : আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ভোলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় আজকের দ্বীপ জেলা ভোলা। সেদিন সকালে পাক বাহিনী ভোলা লঞ্চঘাট হয়ে কার্গো লঞ্চ যোগে পালিয়ে যায়। সকালে এ খবর পেয়ে হাজার-হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা, আমার নেতা’ ‘শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে স্লোাগানে মুখোরিত করে চারপাশ। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেন সবাই।
ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। পাক হানাদারেরা নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেস্টা করে মুক্তিকামী জনতা।
এসময় তারা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে ভোলার পাক হানাদেরদের সকল সদস্য নিহত হয়।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান বাসস’কে জানান, ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে (ওয়াপদা) পাক বাহিনীর অবস্থান ছিলো। ১০ ডিসেম্বর রাতে ওয়াপদা ঘেরাও এর পরিকল্পনা নেই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু তারা পরাজয় জেনে আগেই সটকে পরে সেখান থেকে। পরে তাদের পালিয়ে যাবার সময় ভোলার খালে আমরা প্রতিহতের চেষ্টা করি। পাকসেনাদের পালাবার খবরে হাজার-হাজার জনতা রাজপথে নেমে আসে বিজয় উল্লাসে।
তিনি বলেন, পাকসেনারা পালিয়ে গেলে ওয়াপদা থেকে ৩০ জন বিরঙ্গণাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। সবার অংশগ্রহণে বিজয় র‌্যালি করি আমরা। এক অন্যরকম আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেদিন।
এদিকে যথাযথ মর্জাদায় দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।