মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সিআরবি কাঠের বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ

206

ঢাকা, ৯ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের সিআরবি কাঠের বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদ ভবনে আজ কমিটির সভাপতি এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, মোঃ মোসলেম উদ্দীন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ নোমান, ইয়াসিন আলী এবং ফাতেমা জোহরা রাণী সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় খুলনায় রেললাইনে নিম্ন মানের স্লিপার স্থাপন এবং রেলস্টেশন মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে, দশম জাতীয় সংসদকালীন সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ধীন ব্যয় বৃদ্ধি প্রকল্পের সংখ্যা, বৃদ্ধির যৌক্তিকতা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কোন নীতিমালার আলোকে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত ট্রেনের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের নাম ও আয়-ব্যয়, চট্টগ্রাম পুরাতন রেল ষ্টেশনস্থ হেরিটেজ বিল্ডিংটি কোন প্রক্রিয়ায় লীজ প্রদান করা হয়েছে, পুকুর, জলাশয় এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনের সন্মুখস্থ পার্কিং স্থান ব্যতীত রেলওয়ের অন্য কোন কোন জায়গা এবং স্থাপনা লীজ প্রদান করা হয়েছে এবং রেলওয়ের যে সকল ষ্টাফ নিজ কর্মস্থল ব্যতীত অন্যত্র কাজ করছে তাদের বদলি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় মুক্তিযুদ্ধের সময় সংসদ সদস্য সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এর নেতেৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৫মার্চে বৃহস্পতিবারের কার্যক্রমের স্মৃতি বিজড়িত সিআরবি কাঠের বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সভায় রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা যারা এনটাইটেল্ড নয় অথচ তাদের সাথে যে সব কর্মচারী সংযুক্ত রয়েছে তাদের দ্রুুত অন্য স্থানে বদলীর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুপারিশ করে ।
সভায় জানানো হয় খুলনা স্টেশন রিমডেলিং প্রকল্পের রেললাইনে নিম্ন মানের স্লিপার ব্যবহার বিষয়ে অভিযোগের উপর রেলপথ মন্ত্রণালয গঠিত কমিটি প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা রিমডেলিং স্টেশনে নতুন ভবনে নামাজের জন্য স্থান বরাদ্দ রয়েছে। পুরাতন ভবনের পাশে একটি মসজিদ রয়েছে, যা স্থানীয় জনগণ পরিচালনা করছে। এছাড়াও বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদকালীন সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়াধীন ব্যয় বৃদ্ধি প্রকল্পের সংখ্যা, যোক্তিকতা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কোন নীতিমালার আলোকে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে এ সম্পর্কিত তথ্য সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।