বাসস দেশ-৩৮ : পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

366

বাসস দেশ-৩৮
‘নিউক্লিয়ার ডে’-উদযাপন
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
ঈশ্বরদী, ৩০ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধু রাশিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছে।
আজ জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় রাশিয়ান ফেডারেশন ও তাদের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে ।
মন্ত্রী আরা বলেন, বাঙ্গালির বহু স্বপ্নের মধ্যে পারমাণবিক প্রকল্প অন্যতম। বিদ্যুৎ পাওয়ার ব্যাপার নয়, পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন বাঙ্গালি জাতিকে আরেকটা উন্নতির সোপানে নিয়ে গেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রূপপুরবাসীরও সহযোগিতা রয়েছে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে সবাই কাজ করার কারণে আজ এই প্রকল্প দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করে এবং বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের ৩৩তম সদস্য রাষ্ট্র। দিনটির তাৎপর্য স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ‘নিউকিয়ার ডে’ উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে রূপপুরে সীমিত পরিসরে কর্মসূচীর আয়োজন করে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, বাঙ্গালি জাতির জন্য এটি একটি গর্বের প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে পদার্পণের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে। টেকনোলজি বেইজড উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তা পূরণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কারণেই আজ এই প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে।
এ সময় রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাস্টেস্কিন সের্গেই, প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের পরিচালক এল এ টুপিলব, পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (প্রকৌশল) আব্দুস সালাম এবং বায়রার সদস্য প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাবলিক ইনফরমেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন। রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত এই ইনফরমেশন সেন্টার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এই সেন্টারের মাধ্যমে পারমাণবিক বিষয়ে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা দূরসহ বিশ্বের এবং বাংলাদেশের পরমাণু বিষয়ক সকল তথ্য জানা যাবে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএআর/২২৪০/এবিএইচ