নওগাঁয় ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে

508

নওগাঁ, ২৭ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় মোট ৮টি ফসলের বিপরীতে মোট ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রবি মওসুৃমে এ কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় এসব ফসলের জন্য মোট ৩২ হাজার ৫শ কৃষকের মধ্যে প্রত্যেকের ১ বিঘা জমির অনুকূলে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা মূল্যের বীজ ও সার বিতরণ করার কার্যক্রম চলছে।
পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে ৫ হাজার গমচাষী, ১০ হাজার সরিষাচাষী, ২ হাজার ৫শ সূর্যমুখী চাষী, ২ হাজার চীনাবাদাম চাষী, ৪ হাজার মসুর ডাল চাষী, ৪ হাজার খেসারী ডাল চাষী, ২ হাজার টমেটো চাষী এবং ৩ হাজার মরিচ চাষী। প্রত্যেক কৃষকের ১ বিঘা জমির বিপরীতে এসব প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা ভিত্তিক ফসলওয়ারী কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৫০ জন গমচাষী, ৭শ সরিষাচাষী, ৩৫০ সূর্যমুখী চাষী, ২৫০ চীনাবাদাম চাষী, ৪শ মসুরডাল চাষী, ৫শ খেসারী চাষী, ২৫০ টমেটো চাষী ও ৪শ মরিচ চাষী। রানীনগর উপজেলায় ১৫০ গমচাষী, ১ হাজার সরিষা চাষী, ৩শ সূর্যমুখী চাষী, ২৫০ চীনাবাদাম চাষী, ৩৫০ মসুর চাষী, ৪শ খেসারী চাষী, ২শ টমেটো চাষী ও ২শ মরিচ চাষী। আত্রাই উপজেলায় ১০০ গমচাষী, ১ হাজার সরিষা চাষী, ৩শ সূর্যমুখী চাষী, ৪শ চীনা বাদাম চাষী, ৪শ মসুর চাষী, ৫শ খেসারী চাষী, ১৫০ টমেটো চাষী ও ৩শ মরিচ চাষী। বদলগাছি উপজেলায় ১০০ গমচাষী, ৪শ সরিষা চাষী, ১০০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী,৪শ মসুর চাষী, ৩ জন খেসারী চাষী, ২শ টমেটো চাষী ও ৩শ মরিচ চাষী। মহাদেবপুর উপজেলায় ২০০ গমচাষী, ৫শ সরিষা চাষী, ২০০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী, ৩শ মুসর চাষী, ৩শ খেসারী চাষী, ২৫০ টমেটো চাষী ও ৩শ মরিচ চাষী। পতœীতলা উপজেলায় ৫০০ গমচাষী, ১ হাজার সরিষা চাষী, ২০০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী, ৩শ মসুর চাষী, ৩শ খেসারী চাষী, ২শ টমেটো চাষী ও ২৫০ মরিচ চাষী। ধামইরহাট উপজেলায় ৩০০ গমচাষী, ৫শ সরিষা চাষী, ১৫০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী, ৪শ মসুর চাষী, ২০০ খেসারী চাষী, ১৫০ টমেটো চাষী ও ২৫০ মরিচ চাষী। সাপাহার উপজেলায় ১ হাজার গমচাষী, ৯শ জন সরিষা চাষী, ২০০ জন সূর্যমুখী চাষী, ১০০ জন চীনাবাদাম চাষী, ৩শ জন মসুর চাষী, ২০০ খেসারী চাষী, ১০০ টমেটো চাষী ও ১০০ মরিচ চাষী। পোরশা উপজেলায় ১ হাজার গমচাষী, ৮শ সরিষা চাষী, ২০০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী, ২৫০ মসুর চাষী, ২৫০ খেসারী চাষী, ১০০ টমেটো চাষী ও ১০০ মরিচ চাষী। মান্দা উপজেলায় ৬০০ গম চাষী, ২২০০ সরিষা চাষী, ৩৫০ সূর্যমুখী চাষী, ৪শ চীনাবাদাম চাষী, ৬শ মসুর চাষী, ৮শ খেসারী চাষী, ৩০০ টমেটো চাষী ও ৬শ মরিচ চাষী। নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮শ গমচাষী, ১ হাজার সরিষা চাষী, ১৫০ সূর্যমুখী চাষী, ১০০ চীনাবাদাম চাষী, ৩শ মসুর চাষী, ২৫০ খেসারী চাষী, ১০০ টমেটো চাষী ও ২০০ মরিচ চাষী।
সুত্রমতে ৫ হাজার গমচাষীর কেবলমাত্র বিঘাপ্রতি ২০ কেজি করে মোট ১০ হাজার কেজি বীজ যার মূল্য ৬ লক্ষ টাকা। ১০ হাজার সরিষা চাষীর প্রত্যেককে ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি যার মোট মূল্য ৩৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ২ হাজার ৫শ সূর্যমুখী চাষীর প্রত্যেককে বিঘা প্রতি ১ কেজি করে মোট ২ হাজার ৫শ কেজি শুধু বীজ যার মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা, ২ হাজার চীনাবাদাম চাষীর প্রত্যেককে ১০ কেজি করে মোট ২০ হাজার কেজি শুধু বীজ যার মোট মূল্য ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ৪ হাজার মসুর ডাল চাষীর প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি যার মোট মূল্য ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ৪ হাজার খেসারী চাষীর প্রত্যেককে ৮ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি যার মোট মূল্য ৩৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ২ হাজার টমেটো চাষীর প্রত্যেককে ৫০ গ্রাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি যার মোট মূল্য ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং ৩ হাজার মরিচ চাষীর প্রত্যেককে ৩শ গ্রাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি যার মোট মূল্য ১৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। এসব বীজ, ডিএপি এবং এমওপি সারের মোট মূল্য ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও বীজ, সার পরিবহন এবং অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ৮১ লক্ষ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।