প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে চায় বেক্সিমকো ঢাকা

276

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে গতকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়া মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়াতে চায়। আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে চায় ঢাকা।
প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে মাত্র ২ রানে হারে ঢাকা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রানের সমীকরন মেলাতে পারেনি ঢাকা।
আগের ওভারে পাওয়া ২১ রানের মধ্যে তিনটি ছক্কায় ২০ রান করেছিলেন হার্ড-হিটার মুক্তার আলী। তবে শেষ ওভারে স্পিনার মেহেদি হাসানের সামনে ব্যর্থ হন তিনি। ঐ ওভারে একটি বাউন্ডারি ও একটি নো-বলে মাত্র ৬ রান নিতে পারেন মুক্তার।
দলের হারের জন্য মুক্তারকে দোষ দেয়া যেতে পারে, তবে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো ঢাকা। মুশফিক-আকবরের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ম্যাচে ফিরতে সক্ষম হয় ঢাকা। দুই ব্যাটসম্যানই উইকেটে দারুনভাবে সেট ছিলেন, কিন্তু ম্যাচটি শেষ করতে পারেননি তারা।
ফলে রাজশাহীর করা ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা।
ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেছিলেন, ‘ইনিংস বড় করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। এটি ম্যাচ হারের আরও একটি বড় কারন। আমি-আকবর ও নাইম ক্রিজে সেট হয়েছিলাম, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাচটি আমাদের হাতেই ছিলো, তবে তারা ভালো বোলিং করেছে। আমি ও আকবর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়েছি। তাই এ ধরনের উইকেটে ব্যাটিংএ নেমেই শুরু থেকেই বড় শট নেয়া কঠিন।’
প্রথম ম্যাচে ভুল থেকে খেলোয়াড়রা শিখতে পারবে বলে আশা করছেন মুশফিক এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান তিনি ।
মুশফিক বলেন, ‘আশা করছি, প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে আমরা শিখতে পারবো। ভুল থেকে শিখতে হবে এবং পরের ম্যাচে জ্বলে উঠতে হবে। তাই পরের ম্যাচে ভালো খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’
এবারের আসরে আগামীকাল প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে চট্টগ্রাম। দলে বেশ কিছু টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের খেলোয়াড় রয়েছে। এই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন। সাথে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেনের মত খেলোয়াড়রা।
অধিনায়ক হিসেবে খুব বেশি অভিজ্ঞ নন মিঠুন। তবে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদি।
বেক্সিমকো ঢাকা : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাইম শেখ, নাইম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলী, ইয়াছির আলী রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলী, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ ও রবিউল ইসলাম রবি।
গাজী গ্রুপ চট্রগ্রাম : মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মোমিনুল হক, রকিবুল হাসান (জুনিয়র), সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয় ও মেহেদি হাসান।