বাসস দেশ-৩১ : ‘লাভের কথা মাথায় রেখে চাষীদের ফসল চাষের উপদেশ দিতে হবে’

503

বাসস দেশ-৩১
কৃষি উন্নয়ন-কর্মশালা
‘লাভের কথা মাথায় রেখে চাষীদের ফসল চাষের উপদেশ দিতে হবে’
ঢাকা, ৮ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : ধান উৎপাদনের পাশাপাশি ডাল, তেল, ফল, সবজি উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, লাভের কথা মাথায় রেখে কৃষকদের ফসল চাষের উপদেশ দিতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৮ চুড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কর্মশালা আয়োজন করে।
‘নীতি চুড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের চ্যলেঞ্জও বিবেচনায় রাখতে হবে’- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শস্য নিবিড়তা, মাটির স্বাস্থ্য, উদ্ভাবিত প্রযুক্তির দুর্বলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, ফসলের সংগ্রহোত্তর অপচয়সহ কৃষির চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা নিয়ে জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি চূড়ান্ত করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের উদ্দেশ্যে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘চাষীদের লাভের কথা মাথায় রেখে তাদেরকে ফসল চাষের উপদেশ দিতে হবে। কৃষি পণ্যের বাজার নিশ্চিত না হলে উপদেশ দিয়ে তাদেরকে ক্ষতি ও হয়রানির মুখে ফেলা ঠিক হবে না।’
‘কৃষি শস্য বীমাতে সরকার যাবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ অনুমোদন হয়েছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের কৃষি যাতে লাভবান হয়, সে কথা মাথায় রেখে ‘জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮’-এর আলোকে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৮’ চূড়ান্ত করতে হবে।
পুষ্টিসম্মত খাবারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ধান উৎপাদনে ৪র্থ, সবজিতে ৩য়, আম উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম- এসব বক্তব্য দিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগে লাভ নেই। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। দানাদার ফসলের মধ্যে ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও আমরা গম আমদানি করছি। আবার বন্যা ও বিভিন্ন দৈবদুর্বিপাকের সময় কৃষি ভার্নারেবল অবস্থায় চলে যায়।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতির খসড়া উপস্থাপন করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাশেম।
আলোচনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. সেকেন্দার আলী ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ওয়ায়েস কবীর।
বাসস/সবি/এমকে/১৯৩২/এবিএইচ