জয়পুরহাটে কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ

491

জয়পুরহাট, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা হিসেবে ২০২০-২১ ফসল চাষ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৯১ লাখ ৭১ হাজার ১০০ টাকা কৃষি প্রণোদনা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের অধিক হারে কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তা দানের জন্য কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচী চালু করে। জেলার পাঁচ উপজেলার কৃষি প্রণোদনার জন্য নির্বাচিত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ৭ হাজার ৭০০ জন। এরমধ্যে রয়েছে বোরো চাষে ২ হাজার ৩০০ জন কৃষক, গম চাষের জন্য এক হাজার কৃষক, ভূট্টার জন্য এক হাজার কৃষক, সরিষার জন্য ৩ হাজার জন, গ্রীষ্মকালীন মুগডালে ২০০ জন কৃষক এবং পেঁয়াজ চাষের জন্য ২০০ জন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলায় ২ হাজার ৩শ বিঘা জমিতে বোরো, এক হাজার বিঘা জমিতে গম, ভূট্টা এক হাজার বিঘা, সরিষা ৩ হাজার বিঘা, গ্রীষ্মকালীন মুগডাল ২শ বিঘা ও পেঁয়াজ ৬৬ বিঘা জমি নির্বাচন করা হয়েছে। বোরো ধান চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ এক কেজিসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, গম চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন ২০ কেজি বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার। ভূট্টা চাষের জন্য নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক পাবেন ২ কেজি বীজ , ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, সরিষা চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পাবেন এক কেজি বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং গ্রীষ্মকালীন মুগডাল চাষের জন্য নির্বাচিত প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ ৫ কেজিসহ ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি এবং পেঁয়াজ চাষে প্রতিজন কৃষক পাবেন বীজ ২৫০ গ্রামসহ ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় জেলায় ৩ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ৩ হাজার ২শ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের জন্য ২৫ লাখ ৩ হাজার ২শ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ফসল গুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০০ বিঘা করে গম , সূর্যমূখী , টমেটো ও মরিচ চাষ এবং সরিষা এক হাজার বিঘা ও মশুর ২০০ বিঘা । কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় গম চাষি পাবে ২০ কেজি বীজ, সরিষা চাষি পাবে এক কেজি বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, সূর্যমূখী চাষি পাবে এক কেজি বীজ, মশুর চাষি পাবে ৫ কেজি বীজসহ ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, টমেটো চাষি পাবে ৫০ গ্রাম বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং মরিচ চাষের জন্য পাবে ৩০০ গ্রাম বীজসহ ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি। এ ছাড়াও মাশডাল চাষের জন্য ৫০০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। যা ইতোমধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানায়, কৃষি বিভাগ। এখানে প্রতিজন কৃষককে বীজ ৫ কেজিসহ ডিএপি ১০ কেজি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে।
জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকদের জন্য কৃষি সহায়তা হিসেবে সরকার ৯১ লাখ ৭১ হাজার ১০০ টাকা কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুর্নবাসন কর্মসূচীর আওতায় বরাদ্দ প্রদান করেছে। যা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় আগাম রবি ফসল চাষ করতে কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচী বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি।