চলতি অর্থবছরে দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : বাণিজ্যমন্ত্রী

491

ঢাকা, ৮ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চলতি অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থরছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা রপ্তানি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর পণ্য ও সেবা খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্জিত হয়েছে ৪০ দশমিক ৯৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ফলে গত বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে দেশের মোট রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর পণ্য খাতে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৩৬ ভাগ এবং সেবা খাতে ৭ দশমিক ৪৩ ভাগ। মোট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ ভাগ।
তিনি বলেন, সরকার বর্তমানে ২৭টি পণ্য রপ্তানি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এবার আরো ৯টি পণ্য রপ্তানিতে দশ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পণ্যগুলো হলো, হিমায়িত সফটসেল কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য ও ঔষধের কাঁচামাল, সিরামিক দ্রব্য, গালভানাইজড সিট বা কয়েলস, ফটোভলটাইক মডুল, রেজার ও রেজার ব্রেডস, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। এর ফলে আগামীতে দেশের রপ্তানি কারকগণ পণ্য রপ্তানিতে আরো বেশি উৎসাহিত হবেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের প্তানির সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থ বছর ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। রপ্তানি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবছর তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমান দাড়াঁবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানিতে আগে ৩ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হতো। এখন আরো একভাগ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে।
সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন, ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্থল ও সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার দাবি জানান।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সরকার পর্যাপ্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চলমান কাজগুলো শেষ হলে রপ্তানি বাণিজ্য সহজ হবে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহজ করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।