বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : প্রাকৃতিক গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহবান

233

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-জ্বালানি নিরাপত্তা
প্রাকৃতিক গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহবান
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রাকৃতিক গ্যাস অফুরন্ত নয় উল্লেখ করে বলেছেন, মূল্যবান এ সম্পদের অপচয় রোধে যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি চাহিদার যোগান একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। এ পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ব্রিটিশ তেল কোম্পানি ‘শেল অয়েল’ এর ৫টি গ্যাসক্ষেত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানায় কিনে নেয়ার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে দেশজ জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতির সূচনা হয়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়ার পর থেকে তুলনামূলক সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎপাদক হিসেবে এ গ্যাসক্ষেত্রগুলো অদ্যাবধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর কৌশলগত ও রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতেই আজ জাতি স্বল্পমূল্যে দেশীয় গ্যাস ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য জ্বালানি খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভর করে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সারকারখানাসহ বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে উঠেছে। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭১ শতাংশ পূরণ করে প্রাকৃতিক গ্যাস। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ও সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অপচয় রোধ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এ জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একক নির্ভরতা কমিয়ে জ্বালানি-মিশ্র এবং বিকল্প বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে প্রাকৃতিক জ্বালানি মজুদ বৃদ্ধির জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে জ্বালানি সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণা এবং প্রায়োগিক ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।
বাসস/তবি/এমআর/১৭২৫/কেএমকে