বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের কাজ শেষের পথে

1143

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১৯ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : জেলা শহরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষের পথে।
বরিশাল ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ প্রজেক্ট-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. সুমন জানান, আয়তনে ৪০ হাজার বর্গফুটের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটির মূল ভবনের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ক্যান্টিন, সাব-স্টেশন, রাস্তা, ওয়াল ও মূল ভবনের ফিনিশিং-এর কাজ চলছে। যা আগামী ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। সেন্টারটি বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। জিওবি-এর অর্থায়নে এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন আশা প্রকাশ করে আরো বলেন, নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটি কাজ সম্পন্ন হলে, এখানে প্রায় ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলাপকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিখাতে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা তৈরি, একাডেমিক ও তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন এবং আইটি-আইটিইএস খাতে তরুণদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোই এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের লক্ষ্য। সেন্টার থেকে ইমেজ প্রসেসিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস ও ডেভেলপমেন্ট, ফটোশপ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, কল সেন্টার এজেন্ট তৈরির মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার সেবা খাতের যে প্রয়োজনীয় লোকবল দরকার সেটা মাথায় রেখেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ৬ মাস ব্যাপী সার্টিফিকেট কোর্স এবং ১ বছর থেকে ২ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স কারিকুলাম ডিজাইন করা হচ্ছে। এসব সেন্টারে একদিকে যেমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, অন্যদিকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ইনকিউবেশনের সুযোগ থাকবে। আইটি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য এসব সেন্টারে ছোট ছোট কিছু ওর্য়াকিং স্পেস থাকবে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে আইটি পেশার উপযোগী করে গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতে সহজেই কেপিও জগতে বিচরণ করতে পারবে। এ অঞ্চলের ফ্রিল্যান্সারদের এ পেশার সাথে জড়িত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটি সম্ভাবনাময় খাত।