যশোরের ৮ উপজেলায় আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা

534

যশোর, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার ৮ উপজেলায় আমন ধান কাটতে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।চলতি মওসুমে বাম্পার ধানের ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।জেলার বাঘারপাড়া, মনিরামপুর, শার্শা ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে পাকা ধানের সোনালী শীষ এখন দোল খাচ্ছে।ইতোমধ্যে আবাদকৃত ৪৫ ভাগ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে এখন নতুন ধানের সমারোহ।একদিকে চলছে ধান কাটার কাজ,অন্যদিকে ধান মাড়াই করে ঘরে ওঠাতে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।অনেক বাড়িতে নতুন ধানের চাল দিয়ে শীতকালীন বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে নিজেরা খাওয়াসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলার ৮ উপজেলায় ১লাখ ৩৯ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি বিভাগ।এ জেলায় রোপা আমন চাষ হয়েছে মোট ১লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’১০ হেক্টর জমিতে।এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান চাষ হয়েছে ১লাখ ২৯ হাজার ৪শ’৭৫ হেক্টর জমিতে, ৭হাজার ৩শ’৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১হাজার ৬শ’৫৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে।উপজেলাওয়ারী রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে- সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৮শ’৩০ হেক্টর জমিতে, মনিরামপুর উপজেলায় ২২হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে, শার্শা উপজেলায় ২১ হাজার ৪শ’৭০ হেক্টর জমিতে,ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৮হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৭হাজার ১শ’৪০ হেক্টর জমিতে,চৌগাছা উপজেলায় ১৭হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে, কেশবপুর উপজেলায় ৯হাজার ২শ’৭৫ হেক্টর জমিতে এবং অভয়নগর উপজেলায় ৭হাজার ৬শ’৩০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে এ জেলায় রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে।গত বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীরা এ বছর আগ্রহ সহকারে ধান চাষে মনোনিবেশ করেন।ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।