এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাট প্রক্রিয়া সহজীকরণ চায় ডিসিসিআই

757

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : করোনা মহামারির সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) টিকে থাকার সুবিধার্থে ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহবান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানিয়েছে।
শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘অর্থ আইন ২০২০ এবং মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ বিষয়ক অনলাইন কর্মশালায় সংগঠনের সভাপতি শামস মাহমুদ এসব প্রস্তাব করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (আয়কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেন ও মো. মাসুদ সাদিক (মূসক নীতি), ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এন কে এ মবিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ডিসিসিআইয়ের কাস্টমস ও ভ্যাট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক এম শফিকুল আলম ‘জাতীয় বাজেটে ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাবনা ও ব্যবসায়িক খাতে এর প্রভাব’ এবং ডিসিসিআই ট্যাক্স কনসালটেন্ট ¯েœহাশীষ বড়–য়া ‘ফিন্যান্স এ্যাক্ট ২০২০-এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে স্থাপিত নিবন্ধিত কারখানাসমূহকে লিজ রেন্টের উপর মূসক (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রীম কর হ্রাসের প্রস্তাব করেন।।
তিনি বলেন, দেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশে নিয়ে যেতে আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই এবং এজন্য করের আওতা বৃদ্ধি, ট্যাক্স ও ভ্যাট রিটার্ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইন করা এবং রিফান্ড পদ্ধতি সহজীকরণ করা একান্ত আবশ্যিক। তিনি জানান, কর প্রদান প্রক্রিয়া বোধ্যগম্য ও সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ডিসিসিআই ‘ট্যাক্স গাইড ২০২০-২১’ প্রকাশ করেছে।
কর্মশালায় এনবিআর সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সরকার কর কাঠামো সংষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং আগামী বছর হতে অনলাইনে মূসক ও আয়কর দেয়া যাবে। তিনি বলেন, বছরের যেকোন সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে কর হার কমানো-বাড়ানোর ফলে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড বিঘিœত হয় এবং এ অবস্থা উত্তরণে দীর্ঘমেয়াদে কর নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। তিনি নিবন্ধিত সকল প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে। ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক ক্ষেত্রেই বিলম্ব হচ্ছে, তবে আগামীতে এই সমস্যা আর থাকবে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি থাকবে না।
শফিকুল আলম তার প্রবন্ধে অনলাইনে ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়া চালু ও ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়া আরো সহজীকরনের জন্য এনবিআরের প্রতি আহবান জানান।¯েœহাশীষ বড়–য়া অগ্রীম কর প্রদান প্রক্রিয়া অটোমেশন করার প্রস্তাব করেন এবং কর রেয়াত নেওয়ার সময় সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় ১০০ ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।