বরিশালে লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

623

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১১ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : জেলায় গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলোর ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। আর তাতে বুঝা যায় দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের স্থানীয় কারিগররা।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়। বরিশাল নগরীর বাসিন্দারা শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে ভিড় করছেন লেপ-তোষক বানানোর দোকানগুলোতে। যে কারণে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। অপরদিকে অনেক পরিবারের লোকজন তাদের বাক্সে ভর্তি করে রাখা লেপ-তোষক বের করে মেরামত করছে।
এবিষয়ে আলাপকালে লেপ-তোষক তৈরি কারিগর সুনীল, অশোক দাস ও বিনয় মালাকর জানান, কিছুদিন পর ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে।
সরেজমিনে নগরীর পদ্মাবতী রোড, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানের সবকটিতেই ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার গুলোতেও।
এবিষয়ে পদ্মাবতী রোডের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান জানান, তুলার মান ও পরিমানের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ২’শ থেকে ৩’শ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা লাভ হয়।
এব্যপারে নগরীর চক-বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সজল ভূইয়া জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা আরো বাড়বে। বর্তমানে বিকিকিনি ভাল এবং বাজারে লোক সমাগম রয়েছে। অনেকেই আগে ভাগে পুরনো লেপ-তোষক, বালিশ মেরামত ও নতুন ভাবে তৈরী করার অর্ডার দিচ্ছে।