বাসস দেশ-৩৪ : ডিআরইউ কার্যালয়ে ফ্রি ওয়াই ফাই জোন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী : রির্পোটাররা সংবাদ মাধ্যমের প্রাণ

302

বাসস দেশ-৩৪
মোস্তফা জব্বার-ডিআরইউ
ডিআরইউ কার্যালয়ে ফ্রি ওয়াই ফাই জোন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী : রির্পোটাররা সংবাদ মাধ্যমের প্রাণ
ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সংবাদপত্র জাতির নেতৃত্ব দেয়। ‘রির্পোর্টাররা হচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের প্রাণ’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনে সংবাদ প্রকাশের প্রচলিত মাধ্যমগুলোর পরিবর্তন হলেও সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয়তা শেষ হবে না।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামীদিনের ডিজিটাল রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োপযোগী গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য প্রযুক্তির অবাধ সুযোগ তৈরি করা অপরিহার্য।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে মন্ত্রীর উদ্যোগে বিটিসিএল প্রদত্ত ফ্রি-ওয়াই ফাই জোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী’র উপস্থাপনায় বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুর মতিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি‘র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আইএসপিএবি’র সভাপতি এমএ হাকিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সহ-সভাপতি নজরুল কবির, বিটিসিএল’র জিএম মির মোর্শেদ প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
দেশে আশির দশকে কম্পিউটারে পত্রিকা এবং প্রথম অনলাইন বাংলা সংবাদ সংস্থা প্রকাশনার জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, যাত্রার শুরুতে কাজ করতে করতে প্রযুক্তি শিখানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিখিয়ে দিতে হয় না। তাদেরকে একটু গাইড করতে পারলেই তারা সহজেই প্রযুক্তি আয়ত্বে আনতে সক্ষম হয়। সত্তরের দশকের সাংবাদিক সংগঠনের নেতা মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, বিগডাটা এবং আইওটি প্রযুক্তি যুগে আমরা প্রবেশ করে ফেলেছি। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক কিছুর মতো গণমাধ্যমেরও আমুল পরিবর্তন হবে। সেই লক্ষ্যে বিদ্যমান দক্ষতার স্তর বহুগুণ বাড়িয়ে তোলার প্রয়োজন হবে।
তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ ব্যাপারে উপযোগী প্রশিক্ষণসহ সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজ হচ্ছেন সবচেয়ে অগ্রসরমান। তারা মানুষকে আলোর পথ দেখায়, সমাজ পরিবর্তণে ভূমিকা রাখেন। তাদেরকে সহযোগিতা করতে আমাদের প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে। আগামী দিনের প্রস্তুতি না থাকলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে আরও ২৫ বছর আগে বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি আদর্শ দেশ ও জাতি হতো।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এগারো বছরে বাংলাদেশ গর্বের সাথে বিশ্বে উপস্থাপিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে আজ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও বাংলাদেশ আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতার বার্তা দিন বদলের সনদের সমালোচকদেরকে পর্যন্ত বিস্মিত করেছে।
তিনি বিটিসিএলকে জনবান্ধব এবং এ সংস্থার আধুনিকায়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিটিসিএলকে বহুমাত্রিক ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। মানুষ খুব সহসাই এর ব্যাপক সুফল পাবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রিপোর্টারদের জন্য ফ্রি-ওয়াই ফাই জোন প্রতিষ্ঠাকে সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষতার জন্য সরকারি সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারা আশির দশকে সাংবাদিকদের কম্পিউটার শেখানো এবং কম্পিউটারে পত্রিকা প্রকাশে মন্ত্রীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরে মন্ত্রী ডিআরইউ ভবনে ৫০ এমবিপিএস ক্ষমতা সম্পন্ন বিটিসিএল’র ফ্রি ওয়াই ফাই জোন উদ্বোধন করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২৩৪৫/এবিএইচ