চুয়াডাঙ্গার রোপা আউশ ধান চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে চাষীরা

530

চুয়াডাঙ্গা, ৬ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : জেলার রোপা আউশ ধান চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে চাষীরা। ধানের বাজার দর ভালো, উৎপাদন খরচ কম ও ফলন ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। সরকার এই ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের উৎসাহিত করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় রোপা আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ১শ’ ৪১ হেক্টর জমিতে। ১হাজার ১শ’ ৪১ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬ হাজার ৯শ’ ৯৬ হেক্টর, জীবননগর উপজেলায় ৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর, দামুড়হুদায় ১১হাজার ৫শ’ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৫হাজার ১শ’৪৫ হেক্টর জমিতে চাস হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের চাষি আমির হামজা জানান, তিনি প্রতি বছর পাটের আবাদ করতেন পাটের বাজার দর ভালো না পাওয়া এবং পাট পঁচানোর পর্যাপ্ত পানি না থাকার কারনে পাটের পরিবর্তে এবার ৪ বিঘা জমিতে রোপা আউষ ধানের আবাদ করেছেন। এই আবাদে বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় তেমন পানির খরচ হয় না, তেমনি অল্প দিনের (১২০ দিন) ফসল ঘরে তোলা যায়। আউশ ধানের ফলন ভালো হয় এবং ধানের বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়এ ন্য তিনি এই আউশ ধানের আবাদ করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে রোপা আউষ ধানের আবাদ করেছেন। এই ধানে সেচ খরচ নেই বললেই চলে, বৃষ্টিতেই প্রায় আবাদ হয়ে যায়। এতে অন্য ধান চাষের তুলনায় অনেক কম হয়। ধান কেটে ওই জমিতে তিনি ভুট্টার আবাদ করবেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাঈম আস সাদিক জানান, অল্প এ দানের উৎপাদন খরচ কমা। উৎপাদনও ভাল হয়। এ জন্য চাষীরা এই রোপা আউশ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এছাড়া সরকার আউশ ধান আবাদে চাষীদের উৎসাহিত করতে প্রনোদনা কর্মসুচির বিনা মূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আসছে।