বাসস বিদেশ-১ : ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৮২ জনের মৃত্যু, জীবিতদের উদ্ধারে চালানো হচ্ছে অনুসন্ধান অভিযান

377

বাসস বিদেশ-১
ইন্দোনেশিয়া-ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৮২ জনের মৃত্যু, জীবিতদের উদ্ধারে চালানো হচ্ছে অনুসন্ধান অভিযান
মাতারাম (ইন্দোনেশিয়া), ৬ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস ডেস্ক) : ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও জরুরি সংস্থার কর্মীরা দেশটির লোম্বকে আঘাত হানা শক্তিশালী ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে জরুরি সহায়তা সোমবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে পর্যটন দ্বীপটির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই এখানে আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। খবর এএফপি’র।
উদ্ধারকর্মীরা বাড়িঘর, মসজিদ ও স্কুলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যার ওই ভূমিকম্পে কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়ে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা মুখপাত্র সুতোপো পুরোউ নুগরোহো বলেন, ‘তল্লাশী ও উদ্ধারকারী দল এখনও ঘটনাস্থল থেকে মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়।
পার্শ্ববর্তী দ্বীপ বালিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানার সময় লোম্বকের হাজার হাজার বাসিন্দা ও পর্যটক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তারা দৌড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
ভূমিকম্প পরবর্তী শক্তিশালী কম্পন অব্যাহত থাকায় অনেকে রাস্তায়তেই পুরো রাত কাটিয়ে দেয়।
ভূমিকম্পে লোম্বকের বহু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
প্রধান নগরী মাতারাম ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ধ্বংস হওয়া হাসপাতালগুলোর বাইরে মারাত্মকভাবে আহত কয়েকশ’ লোককে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সেখানে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করে লোকজনকে এখনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নুগরোহো বলেন, ‘অনেক আহত লোক হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছে। কারণ ভূমিকম্পে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
নিহতদের অধিকাংশই দ্বীপটির পার্বত্য উত্তর ও পূর্ব দিকের বাসিন্দা।
নর্থ লোম্বক জেলার প্রধান নাজমুল আখিয়ার বলেন, ভূমিকম্পে ৮০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি মেট্রো টিভিকে বলেন, ‘কয়েকটি মসজিদ ধসে পড়েছে এবং ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন। ধ্বংস্তুপ সরিয়ে তাদের উদ্ধার করতে আমাদের ভারী সরঞ্জামাদি প্রয়োজন।’
এ নিয়ে এক সপ্তাহে লোম্বকে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলো।
৬.৪ মাত্রার আগের ভূমিকম্পে ১৭ জনের মৃত্যু ও কয়েকশ’ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সর্বশেষ এ ভূমিকম্পে লোম্বকের প্রধান বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও যাত্রীদের কিছু সময়ের জন্য প্রধান টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে লোম্বকে অবস্থান করছিলেন।
তিনি এক ফেসবুক বার্তায় বলেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি যে হোটেলটিতে ছিলেন সেখানে অনেক জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পে দেয়ালে ফাঁটল দেখা দেয়। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব ছিল।’
দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, এ ভূমিকম্পে বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
বাসস/কেএআর/১১১৫/এমএজেড