একনেকে ৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তর সিটির ট্রাফিক অবকাঠামো প্রকল্পের অনুমোদন

764

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের অনুমোদন প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়্যাল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
সভাশেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ একনেক সভায় ৫ হাজার ১৮৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে এবং একটি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।’
তিনি জানান, প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ও বাস্তবায়নকারি সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে ৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এছাড়া বাকি ২ হাজার ২৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ জানান, জুন ২০২৩ মেয়াদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ‘উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- ট্রাফিক জ্যাম হ্রাস, পথচারীদের যাতায়াত সহজ করা এবং সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়নে পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ। প্রকল্পের আওতায় ফুটওভার ব্রীজ ও এসকেলেটর স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প ব্যয়ের ২৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সংস্থাসমূহকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পুর্ণ হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সংস্থাসমূহ বেশিরভাগ ব্যয় মেটাতে পারে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প (সংশোধিত), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা; সোনাপুর (নোয়াখালী-সোনাগাজী (ফেনী) জোরারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (সংশোধিত), এর বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।