বাসস দেশ-২৫ : গার্মেন্টস শ্রমিকরা রেশনের চাল নিতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা নেবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

304

বাসস দেশ-২৫
সিপিডি-শ্রম প্রতিমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকরা রেশনের চাল নিতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা নেবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা রেশনের চাল নিতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আজ রাজধানীর মহাখালিতে ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘গামেন্টর্স শিল্পের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী এবং জীবন মানের অবস্থা’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার সময়োপযোগি এবং বাস্তবমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,সারা দেশে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রগুলো আপগ্রেড করা হচ্ছে। পেশাগত বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ডরমেটরী নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. আধ্যাপক রেহমান সোবহান, বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মন্টু ঘোষ,বিলস’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন । এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষনা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মেয়াজ্জেম।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য অংশগ্রহনমূলক ভবিষ্যত তহবিল গঠনের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনা করছে।
শ্রমঘন এলাকা আশুলিয়ায় দু’টি নতুন শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে মজিবুল হক বরেন, শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে নারায়নগঞ্জে ৩’শ শয্যার এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও বগুড়ায় ২শ’ শয্যার পেশাগত বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন,‘বর্তমান সরকার ন্যায় বিচারের পক্ষে বলেই শ্রম আদালতের বিচার প্রক্রিয়া যাতে প্রলম্বিত না হয় সেজন্য শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। এতে শ্রম আদালতের বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রাখা হবে। যদি কোন বিচার ৯০ দিনে শেষ না হয় তবে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই শেষ করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী সিপিডিসহ সকলকে শুধু গার্মেন্টস খাতই নয়,অন্য খাতের শ্রমিকদের জীবনমানের বিষয়েও গবেষণা করার আহ্Ÿান জনান।
মজিবুল হক বলেন, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইভুক্ত শ্রমিকদের ডাটা বেজ তৈরী শেষ পর্যায়ে । সকল শ্রমিক ডাটা বেজের আওতায় আসলে তাদের বেতন ভাতা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রদানে সুবিধা হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের হাতে বেতন পৌঁছানের জন্য মালিকদের পরামর্শ দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
মজুরী নির্ধারনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ৪২টি সেক্টরে নি¤œতম মজুরী বোর্ড গঠন করেছে। মজুরী বোর্ড ১৮ টি সেক্টরে বেতন নির্ধারণ করেছে। গার্মেন্টসসহ ৩টি মজুরী বোর্ড বেতন নির্ধারনেণ কাজ করছে।
তিনি বলেন,শুধু মজুরী নির্ধারণ করলেই হবে না এলাকা ভেদে এবং বাড়ির মান অনুযায়ি শ্রমিকদের বাড়িভাড়া নির্ধারণ করা যায় কিনা সে বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। এজন্য প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মালিকÑশ্রমিক সকলকে উদ্যোগী হওয়ারও তাগিদ দেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯৩৫/এবিএইচ