উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যবস্থায় মানুষকে ‘পশুর চেয়ে অধম’ বলে গণ্য করে: এইচআরডব্লিউ

430

সিউল, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : উত্তর কোরিয়ায় বিচারপূর্ব আটক ব্যবস্থায় অত্যাচার, অবমাননা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নৈমিত্তক ঘটনা, যেখানে মানুষকে ‘পশুর চেয়ে অধম’ বলে গণ্য করা হয় ।
দেশটির অস্বচ্ছ্ব আইনী প্রক্রিয়া বিষয়ক এক রিপোর্টে সোমবার এ কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সংগঠনটি উত্তর কোরিয়ায় আটক ছিল এমন বেশ কিছু লোক এবং কর্মকর্তার সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করে। এতে আটক কেন্দ্রগুলোর অমানবিক পরিস্থিতি উঠে এসেছে, যেখানে আটককৃতরা হর হামেশাই অত্যাচারের শিকার হয়।
সাক্ষাতকার প্রদানকারীরা বলেছেন, বিচারপূর্ব আটকাবস্থায় দূর্ব্যবহার, লাটিপেটা কিংবা লাথি মারার মতো কঠোর আচরণ করা হয়।
সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আইনে না মারার কথা থাকলেও তদন্ত ও স্বীকারোক্তি আদায়কালে তাদের মারধর করতে হয়।
এদিকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন কিছু আটক হওয়া কিছু নারী । তারা বলছেন, আটক থাকার সময়ে তারা যৌন নিড়ীড়নের শিকার হয়েছেন।
উত্তর কোরিয়া থেকে ২০১৫ সালে পালিয়ে আসা কিম সুন ই্য়ং বলেছেন,আটক কেন্দ্রে তার প্রশ্নকর্তা তাকে ধর্ষণ করেছে।
আরো এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে যৌন হয়রানি করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রিপোর্টে এই ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধে পিয়ং ইয়ং এর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে উত্তর কোরীয় সরকারের ওপর সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাপ প্রয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন তার পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম যিনি দেশ শাসন করছেন। তার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় নজরদারি আরো বেড়েছে এবং ভিন্নমত একেবারেই সহ্য করা হচ্ছে না।