বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

740

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো উচ্চমাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্যে জাদুঘর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছেন। একইভাবে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আজ দুপুরে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই সহযোগিতার কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অহিংস ও শান্তিপূর্ণ নীতি সম্পর্কে প্রচার, জাদুঘরসহ প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণে ভারতের কারিগরী সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা-সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি পানাম সিটি সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের বিশিষ্ট প্রতœতত্ত্ববিদ মনীষ চক্রবর্তীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি হাইকমিশনারকে অবহিত করেন এবং এ কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী যেভাবে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, একইভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আজীবন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।
বঙ্গবন্ধু মহান ভাষা আন্দোলন হতে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে তথা ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, এমনকি ৭ মার্চের ভাষণেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ দুই মহান নেতার অহিংস ও শান্তিপূর্ণ মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দু’দেশের অংশগ্রহণে স্মারক অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব করেন।
এছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের অভিন্ন অংশীদারিত্ব্য রয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এসব বিষয়ে দু’দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হতে পারে। যার মাধ্যমে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সংশ্লিষ্ট শাখায় নতুন সৃজনশীল ও অনুপম কর্ম সৃষ্টি হতে পারে।
বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন অংশগ্রহণ করেন।